৬৩ দিনেও ক্লাসে ফেরেনি ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা
৬৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ক্লাসে ফেরেননি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) ইলেকট্রনিকস এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা। গত ১৭ অক্টোবর থেকে ইটিই বিভাগকে ইলেকট্রিকাল এন্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সাথে একীভূতকরণের দাবিতে ক্লাস বর্জন করেন তারা এবং ২৭ অক্টোবর থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা শুরু করেন।
গত ২৭ নভেম্বর থেকে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিভাগটির প্রথম থেকে তৃতীয় বর্ষের সকল শিক্ষার্থী পরীক্ষা বর্জন করেছেন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত একাডেমিক ভবনে ইটিই বিভাগের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ইটিই এর চাকরির ক্ষেত্র দিনদিন কমে যাচ্ছে। যেহেতু টেলিকমিউনিকেশন সংশ্লিষ্ট সকল চাকরির ক্ষেত্রেই ইইইকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে এবং ইইই এর সাথে তাদের কোর্স কারিকুলাম ও প্রায় একই তাই তারা চান ইইই এর সাথে একীভূত করা হোক।
ইটিই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান জানান, ‘বেশিরভাগ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোই তাদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলোতে শুধুমাত্র সিএসই এবং ইইই চায়, এমনকি বিটিসিএলে যেখানে ইটিই কে প্রাধান্য দেয়ার কথা সেখানেও ইটিই কে রাখা হয় চতুর্থ পছন্দ হিসেবে। ইটিই ও ইইই এর কোর্স কারিকুলাম প্রায় একই হওয়া স্বত্বেও আমরা সর্বত্র অবহেলিত হচ্ছি। আমরা সার্টিফিকেট অর্জন করে বেকারত্বের বোঝা বইতে চাইনা তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছি এবং দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবো’।
এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান জানান, ‘আমি চলতি উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি এবং তাদের দাবি পূরণ আমার ক্ষমতার বাইরে। তাদের দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য নতুন উপাচার্য নিয়োগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আমি ইতোমধ্যে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের বিষয়টি জানিয়েছি।’
উল্লেখ্য, ইটিই বিভাগটি ২০১১ সালে এপ্লাইড ফিজিক্স এন্ড ইলেকট্রনিক্স (এপিই) হিসেবে যাত্রা শুরু করে, পরবর্তীতে ২০১৪ সালে বিভাগটিকে এপ্লাইড ফিজিক্স, ইলেকট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (এপিইসিই) বিভাগে পরিবর্তন করা হয় এবং সর্বশেষ ২০১৭ সালে ইটিই তে রূপান্তর করা হয়।