২৬ নভেম্বর ২০১৯, ১৫:৫১

ভুল চিকিৎসায় ৬ মাস ধরে অচেতন মুন্নি

অচেতন মরিয়ম জাহান মুন্নি  © টিডিসি ফটো

৬ মাস পেরিয়ে গেলেও জ্ঞান ফেরেনি ভুল চিকিৎসার শিকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থী মরিয়ম জাহান মুন্নির। দীর্ঘ তিনমাস ধরে ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে উন্নত চিকিৎসা করালেও মুন্নির অবস্থার কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় গত জুলাই মাসের শেষের দিকে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ ডা. কাজী দীন মোহাম্মদের পরামর্শে চিকিৎসা চলছে।

মুন্নির বাবা জানান, ‘গত ২০ মে পিত্তথলির অপারেশনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হলে ভুল ইনজেকশনে অজ্ঞান হয়ে যায় মুন্নি। ইতিমধ্যে তাকে বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা করিয়েছি, এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছি তবে তার অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। এই ঘটনার বিচার চেয়ে আমার ছোট ভাই জাকির হোসেন ডাক্তার তপন কুমার মন্ডলসহ দুজন নার্সকে আসামি করে মামলা দিয়েছে। কিন্তু পুলিশ কারো সাথে কথা না বলেই তপন কুমার মন্ডলের নাম বাদ দিয়ে শুধু দুই নার্সকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেছে। আমি এই ঘটনার পুনঃতদন্ত চাই। যাদের কারণে আমার মেয়ে আজ মৃত্যুশয্যায় আমি তাদের বিচার চাই।’

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোপালগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক মুকুল হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় ডা. তপন কুমার মন্ডলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। দুই নার্স শাহজাহান ও কুহেলিকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাদেরকে আসামি করে এবং ডা. তপন কুমার মন্ডলের নাম বাদ দিয়ে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়া হয়েছে।’

এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই নার্স শাহানাজ এবং কুহেলিকাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের সহকারীজ পরিচালক ডা. অসিত কুমার।

উল্লেখ্য, মুন্নি বশেমুরবিপ্রবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। গত ২১ মে গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে জ্ঞান হারান তিনি