বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে দুর্গাসাগর পাড়ি দিয়ে নিখোঁজ শিক্ষার্থী
বন্ধুদের সঙ্গে ২০০ টাকা বাজি ধরে বরিশালের বাবুগঞ্জের দুর্গাসাগর দিঘি পাড় হতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন এক শিক্ষার্থী। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে উদ্ধার অভিযান চালালেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে বরিশালের পর্যটন কেন্দ্র দুর্গাসাগর দিঘিতে এ ঘটনা ঘটে। এ প্রতিবেদন লেখা (রাত সাড়ে আটটা) পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নিখোঁ শিক্ষার্থীর নাম ওমর ফারুক হৃদয়। তিনি বরিশাল নগরীর কাউনিয়া হাউজিং এলাকার বাসিন্দা। তার পিতা বরিশাল পুলিশ লাইনের এসআই মো. শাহ আলম। ঢাকার আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন বলে প্রাথমিক সূত্রে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হৃদয় তার বন্ধু ও এক বান্ধবীকে নিয়ে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে দুর্গাসাগর দিঘিতে বেড়াতে যায়। সেখানে বন্ধুদের সাথে ২০০ টাকার বাজি ধরে সাঁতরে দিঘির মাঝখানের দ্বীপে যাওয়ার জন্য পানিতে নামে। প্যান্ট-শার্ট খুলে লুঙ্গি পরে দক্ষিণ পাড় থেকে দ্বীপে যাওয়ার সাঁতার কাটা শুরু করে। অর্ধেক পথ যাওয়ার পর কিছুক্ষণের মধ্যে পানিতে তলিয়ে যায়। এরপর আর তাকে দেখা যায়নি। তবে, ডুবে যাওয়ার আগে হৃদয় হাত উঁচিয়ে কিছু একটা বলার চেষ্টা করেন বলে জানান তারা।
দুর্গাসাগরে দায়িত্বরত জেলা প্রশাসনের কর্মচারী মো. অলি বলেন, সকাল ১১টার দিকে হৃদয়ের বন্ধু ও বান্ধবী এসে জানায়, তাদের সঙ্গে থাকা হৃদয় সাঁতরে দিঘির মাঝখানে উচু দ্বীপে যাচ্ছিল। এখন তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। এ খবর পেয়ে অন্যান্য কর্মচারীরা নৌকা নিয়ে তল্লাশি শুরু করেন। কিন্তু তাকে খুঁজে না পেয়ে তারা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।
জানতে চাইলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী মেট্রোপলিটন পুলিশের বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুর রহমান মুকুল বলেন, ধারনা করা হচ্ছে হৃদয় দিঘির মাঝ বরাবর দ্বীপে পৌঁছার আগেই ডুবে গেছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল দিঘিতে সন্ধান চালাচ্ছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত হৃদয়ের সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানান পরিদর্শক মুকুল।