রাজশাহী পলিটেকনিক অধ্যক্ষ লাঞ্ছনার ঘটনায় ডুয়েটে প্রতিবাদ সভা
রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট অধ্যক্ষ ও ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পালিত হয়েছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে ডুয়েটে রাজশাহী ছাত্র কল্যাণ সংগঠন (পদ্মা) ও রংপুর বিভাগীয় ছাত্র কল্যাণ সংগঠন (রংধনু)’র ব্যানারে প্রতিষ্ঠানটির গেটে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশনেন।
এতে বক্তব্য রাখেন ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের হারুন অর রশিদ ও রেজোয়ান, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জাহাঙ্গীর ও ইউসুফ। আরো বক্তব্য রাখেন মুন্না, আবু হানিফ, এস এম সাকিব, মাহফুজসহ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।
এসময় বক্তারা দোষীদের অতিদ্রুত আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির জোর দাবী জানান। তারা বলেন, এটা শিক্ষিত সমাজের জন্য খুবি লজ্জার বিষয় ও এই বিষয় যেন আর পুনরাবৃত্তি না হয় সে বিষয়ে সরকারে দৃষ্টি রাখার আহবান জানানো হয়েছে। অতিদ্রুত দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত না হলে কঠোর কর্মসূচীর হুশিয়ারি দেন বক্তারা।
উল্লেখ্য, গত ২ নভেম্বর রাজশাহী পলিটেকনিক ক্যাম্পাসে দুপুরে নিজ প্রতিষ্ঠানের ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীরা অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিনকে জোরপূর্বক পুকুরে ফেলে দেয়। তারা অনৈতিকভবে তাদের উত্তীর্ণ করতে ফরিদ উদ্দিনকে বললে তিনি তা নাকচ করে দেন। তার জেরধরে রাজশাহী পলিটেকনিক ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন সৌরভের নেতৃত্বে এ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গত শনিবার রাত ৯টায় অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে ৫০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কামাল হোসেন সৌরভকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে বিবৃতি দিয়েছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদ। একই সঙ্গে রাজশাহী পলিটেকনিকে তাদের সকল প্রকার সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করে সংগঠনটি।