আতিথেয়তায় ঢাকা পড়েছে নোবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষার অনিয়ম!
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ভর্তি পরীক্ষার দুই দিন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মিডিয়া তোলপাড় ছিল ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় নোয়াখালীবাসীর আতিথেয়তা। বিষয়টি প্রশংসা পেয়েছে সব মহলে। তবে এরই মাঝে ঢাকা পড়ে যায় ভর্তি পরীক্ষার কিছু অনিয়ম।
জানা গেছে, প্রবেশপত্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী নোবিপ্রবি ভর্তি পরীক্ষায় মোবাইল, ডিজিটাল ঘড়ি, ক্যালকুলেটরসহ সকল ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নেয়া নিষিদ্ধ। কিন্তু হল পরিদর্শকের অদক্ষতার কারণে মিডিয়ায় দেয়া ভিডিওতে উঠে আসে ক্যালকুলেটর ব্যবহারের সুনির্দিষ্ট চিত্র। বাংলাভিশনে প্রচারিত সংবাদে এক পরীক্ষার্থীর ক্যালকুলেটর ব্যবহারের চিত্রটি দেখা যায়।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ কর্মকর্তার দেয়া ছবিতে এ চিত্রটি ধারণ করা হয়েছে নোয়াখালী সরকারী কলেজ কেন্দ্র হতে। বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বিবৃতির দেয়ার আগে, তিনি ওই রুমটি পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ট্রেজেরার, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ পরিদর্শন টিম।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুরকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ছবি এবারের কিনা আমরা তদন্ত করে দেখবো। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে জরুরী সভা ডেকে আমরা ওই ছাত্রীকে চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্র. ড. দিদার উল আলমকে বার বার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি
এছাড়া ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় ঘড়ি ছাড়া প্রবেশ করায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় পরীক্ষার্থীদের। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে থাকা কিছু কেন্দ্রে কোন দেয়াল ঘড়ি না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এ তথ্য পাওয়া যায়। অন্য এক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, ভাঙ্গা বেঞ্চ-টেবিলে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। ফলে পরীক্ষার সময় সমস্যায় পড়েন তিনি।
এছাড়া নোবিপ্রবি ভর্তি পরীক্ষায় পরীক্ষা শেষে ভর্তিচ্ছুদের কাছ থেকে প্রশ্ন নিয়ে যাওয়া হলেও কয়েকটি ইউনিটের প্রশ্ন পাওয়া যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন এডমিশন হেল্পলাইন গ্রুপে দেয়া ছবিতে। এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।