২৯ অক্টোবর ২০১৯, ২০:৫৯

উপাচার্যের ঘুষ কেলেঙ্কারি, ১২ দাবিতে উত্তাল পাবিপ্রবি

  © টিডিসি ফটো

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) উপাচার্য ড. এম রোস্তম আলীর কাছে চাকরি প্রার্থীর ঘুষ ফেরত চাওয়ার অডিও ফাঁস তদন্তসহ ১২ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক তালাবন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল পাবিপ্রবির ক্লাস পরীক্ষাসহ সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগও। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হওয়া উপাচার্যের সাথে নিয়োগ প্রার্থী যুবকের অডিও বিষয়ে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন, তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে করা শোকজ নোটিশ প্রত্যাহার, প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ, রিজেন্ট বোর্ডে নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি রাখা, ছাত্র-শিক্ষকদের জন্য গবেষণা বরাদ্দ, খেলার মাঠ উপযোগী ও শহীদ মিনার নির্মাণসহ ১২ দফা দাবি জানিয়েছেন তারা। এসব দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও জানান তারা।

পাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদ চৌধুরী আসিফ বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে আমরা একমত। এই বিশ্ববিদ্যালয় অনেক সমস্যায় জর্জরিত, তারপরে ভিসি স্যারের ঘুষের অডিও ফাঁস আমাদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে। অতি দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনার প্রকৃত দোষীর শাস্তিও দাবি করেন তিনি।

আসিফ আরো বলেন, উপাচার্য মহোদয় ক্যাম্পাসে অধিকাংশ সময়ই থাকেন না। আবাসন সংকট, সেশন জট, বহিরাগত সন্ত্রাসীদের উৎপাতসহ নানা সমস্যায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কাছে বার বার দাবি জানালেও তা কেবল আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ। আমরা সকল দাবির স্থায়ী সমাধান চাই।

এদিকে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঘুষ কেলেঙ্কারি ও ছাত্রদের দাবির বিষয়ে খোঁজ নিতে মঙ্গলবার দুপুরে পাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে আসেন সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স। এ সময় গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে ঘুষ ফেরতের অডিও ফাঁসসহ সকল দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির প্রতি আহবান জানান তিনি।

গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, পাবিপ্রবি আমাদের গর্বের প্রতিষ্ঠান। এখানে কোন ভাবেই এমন অচলাবস্থা কাম্য নয়। শিক্ষার্থীদের ১২ দফা দাবির অধিকাংশই যৌক্তিক এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে পূরণ সম্ভব। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত এর সমাধানের অনুরোধ জানিয়েছি।

তবে, ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি আবারও অস্বীকার করে পাবিপ্রবি উপাচার্য ড. রোস্তম আলী বলেন, আমি কোন অন্যায় করিনি। বিষয়টির তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি পূরণে ব্যবস্থা নেয়া হবে।