আবরার হত্যা: বুয়েট প্রশাসনকে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০১৯, ০৭:০৮ PM , আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৯, ০৭:১৩ PM
আবরার হত্যার বিচারসহ ১০ দফা দাবির প্রেক্ষিতে উপাচার্যের আশ্বাসে মাঠ পর্যায়ের আন্দোলন স্থগিত করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। এর ১৮ দিন পরে নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করেছেন তারা। এ সময় দাবিগুলো তুলে ধরে এর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সমন্বয়হীনতার অভিযোগ এনেছে আন্দোলনকারীরা। এ সময় দাবি পূরণে প্রশাসন তৎপর না হলে ফের কঠোর অবস্থানে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় বুয়েট ক্যাম্পাসে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তারা এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাহমুদুর রহমান সায়েম ও অন্তরা তিথি। এ সময় পূর্বের দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী চার্জশিটের আগ পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ৭ অক্টোবর বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এর প্রেক্ষিতে ৮ই অক্টোবর থেকে আমরা, বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রথমে ৮ দফা এবং পরবর্তী সংশোধিত ১০ দফা নিয়ে আন্দোলন এবং প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করতে থাকি। এই দাবীগুলাে মূলত আবরার হত্যার বিচার নিয়ে এবং যেসকল কারণে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে ক্যাম্পাস থেকে সেগুলোকে দূর করার জন্য।
তারা বলেন, মাঠ পর্যায়ের আন্দোলন তুলে নেওয়ার আজ ১৩ দিন চলছে। আমরা চাই প্রশাসন তৎপরতার সাথে বুয়েটের কল্যাণের নিমিত্তেই আমাদের দাবীগুলাে সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করবেন।
আন্দোলনকারীরা বলেন, আমরা চাই না, প্রশাসনে থাকা দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ পারস্পরিক দোষারােপ করে কাজের গতি স্থবির করে দিক। প্রশাসন সদিচ্ছা পােষণ করলেও তাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা এখনাে রয়ে গেছে। ইতােমধ্যে অনেক গড়িয়েছে। প্রশাসন তৎপর হলে এ সময়ের মধ্যেই আরাে অনেক অগ্রগতি প্রদর্শন করতে পারত। প্রয়ােজনে আমরা সকল সাধারণ শিক্ষার্থী ভিসি স্যারের সাথে আবারাে আলােচনায় বসতে তৈরি আছি। আর প্রশাসন তৎপর না হলে আমরা কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হব।