২৮ অক্টোবর ২০১৯, ১১:৪৩

যবিপ্রবির শেখ হাসিনা হলে অভিযান, মালামাল জব্দ

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা ছাত্রী হলে ঝটিকা অভিযান চালিয়েছে হল প্রশাসন। এ অভিযানে প্রায় ৮০টি রাইস কুকার ও কারিকুকার, চারটি হিটার, ছয়টি আয়রন মেশিন, অসংখ্য ওয়াটার হিটার ও বটি জব্দ করা হয়। গতকাল ২৭শে অক্টোবর রবিবার দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে দুইটা পর্যন্ত যবিপ্রবির হলের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় এ অভিযান চালায় হল প্রমাসন।

হল প্রাধাক্ষ্য ড. সেলিনা আক্তার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ থেকে জানা যায়, গত ২৬ অক্টোবর শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটার দিকে হল ক্যান্টিন সংলগ্ন বৈদ্যুতিক তারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে দায়িত্বরত সিকিউরিটি সুপারভাইজার ও আনসারদের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট বৈদ্যুতিক লাইন বন্ধ করা হয়। ঘটনাটি হলের অভ্যন্তরীণ অতিরিক্ত বৈদ্যুতিক লোড এর কারণে হয়েছে বলে জানান হলের ইলেকট্রিশিয়ানরা। হলের কক্ষে রান্না ও কাপড় আয়রন মেশিন ব্যবহার করার সরঞ্জামাদি রাখা নিষিদ্ধ হলেও মেয়েরা হলের অভ্যন্তরে রান্না করছে এমন সন্দেহের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে মাত্র দেড় ঘন্টা অভিযান চালিয়ে তল্লাশী স্থগিত করা হয়।

অফিস আদেশে ছাত্রীদেরকে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড সহ বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা এড়াতে রান্না ও কাপড় আয়রন করা হতে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। একইসাথে সংশ্লিষ্ট কক্ষের ছাত্রীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথাও জানানো হয়।

হঠাৎ হল প্রশাসন কর্তৃক এমন অভিযান পরিচালনা করায় বিক্ষুব্ধ হলের ছাত্রীরা। কোনো নোটিশ ছাড়াই সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার আগের দিন আকস্মিক অভিযান চালানো এবং মেয়েদের কক্ষে হল অফিসের পুরুষ কর্মকর্তা প্রবেশ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

হঠাৎ এমন অভিযান চালানোর ব্যাপারে হল প্রাধাক্ষ্য ড. সেলিনা আক্তার বলেন, ছাত্রী হলে যে পরিমনে অতিরিক্ত বৈদ্যুতিক চাপ আছে তাতে যে কোনো সময় তারগুলোতে অগ্নিকান্ড ঘটতে পারে। যেহেতু হলে রান্না করা নিষেধ আছে এবং গত শনিবার হল ক্যান্টিনে বৈদ্যুতিক তারে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে তাই আমরা রান্না করা ও বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ফলে কি পরিমান বৈদ্যুতিক চাপ আসছে সেটা দেখার জন্য এবং পরবর্তীতে কোনো দুর্ঘটনা এড়াতে এ অভিযান চালিয়েছি।

অভিযান নিয়ে ছাত্রীদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি জানান, কোনো পুরুষ কর্মকর্তা মেয়েদের কক্ষে যায়নি। উনি আমাদের উপস্থিতিতে মেয়েদের কক্ষ থেকে জব্দ করা জিনিসপত্র কক্ষের বাইরে থেকে সংগ্রহ করেছেন। আর একজন মেয়ের খেলাধূলার সামগ্রী নেয়া হয়েছে তবে ওটা জব্দ করা হয়নি, হল অফিসে রেখে দেওয়া হয়েছে।