১০ কোটি টাকায় মিটমাট, আবরারের পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:৪৪ PM , আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:৫৩ PM
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের ১৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা তার পারবার ১০ কোটি টাকার মাধ্যমে রফাদফা করেছে। একটি চক্র এমন গুজব ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে নিহত আবরার ফাহাদের বাবা বরকতউল্লাহ ও তার পরিবারের সদস্যরা।
আবরারের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে কয়েকদিন ধরে তাদের কাছে বিভিন্নজন ফোন দিয়ে জিজ্ঞাসা করছে সবকিছু মিটমাট হয়ে গেছে কিনা? অনেকে আবার কত টাকা নেয়া হয়েছে এমন কথাও বলছেন। এ নিয়ে আবরারের পরিবার চরম বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে আবরারের বাবা বরকতউল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ধরনের কথা বিভিন্ন জায়গা থেকে শুনছি। আমরা নাকি ১০ কোটি টাকা পেয়েছি। আমরা কি ছেলের রক্ত বিক্রি করতে মামলা করেছি। এ ধরনের অপপ্রচার যারা চালাচ্ছেন তারা আবরার হত্যার বিচার বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছেন।
বরকতউল্লাহ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আবরারের মামলাটি তিনি নিজে মনিটরিং করছেন। আমাদের কোনো দায়িত্ব নেই, আবরারের খুনিদের বিচারের দায়িত্ব তার। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবরারের মামলাটি দ্রুত শেষ করে খুনিদের ফাঁসির দাবি করেছি। টাকা নিলে তো খুনিদের ফাঁসি দাবি করতাম না।
আবরারের বাবা বলেন, আমরা শুনেছি আবরারের বিষয়ে হাইকোর্টে ১০ কোটি টাকার রিট করেছেন কোনো আইনজীবী। এর সঙ্গে আমার বা আমার পরিবারের কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, আবরারের হত্যাকাণ্ডের সব দৃশ্য সিসি ক্যামেরায় দেখে খুনিদের চিহ্নিত করা গেছে এবং খুনিরাও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাই মামলায় সময়ক্ষেপণ করার কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি মামলাটি দ্রুত বিচার আইনে শেষ করার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের নির্মম নির্যাতনে নিহত হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ৫ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ।
পরদিন ৬ অক্টোবর রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক মারপিট করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা।