আবরার হত্যার আসামি বুয়েটের ছাত্র আবু হুরায়রা গ্রেফতার

  © ফাইল ফটো

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এজাহারনামীয় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ।

গ্রেফতারকৃতের নাম মোয়াজ আবু হুরায়রা (২০)। তার পিতার নাম মাশরুর-উজ-জামান। গ্রামের বাড়ি  কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর থানার পিরপুরে। সে বুয়েটের ইইই বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র। আজ উত্তরার ১৪নং সেক্টর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপি’র গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগের একটি দল।

এর আগে শুক্রবার বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামি শামীম বিল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শামীম বুয়েটের নেভাল আর্কিটেকচার এন্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়াং বিভগের ছাত্র।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শামীম জানিয়েছেন, তিনি সাতক্ষীরা হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। আবরার হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত ১৪ নম্বর আসামি শামীম বিল্লাহ। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ইসাকুড় গ্রামের আমিনুর রহমানের ছেলে। বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ১৭ তম ব্যাচের নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র শামীম।

শামীম বিল্লাহকে নিয়ে আবরার হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি ১৫ জন। এই আসামিদের মধ্যে ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়। ইতিমধ্যে দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

৬ অক্টোবর ওই হত্যাকাণ্ডের পর ৮ অক্টোবর চকবাজার থানায় মামলা করেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। এজাহারে ১৯ জনকে আসামি করে ওই মামলা করা হয়।

এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হলেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন, অনীক সরকার, মেফতাহুল ইসলাম, ইফতি মোশারেফ, বুয়েট ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রবিন, গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ ওরফে মুন্না, ছাত্রলীগের সদস্য মুনতাসির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম ওরফে তানভীর, মোহাজিদুর রহমান, শামসুল আরেফিন, মনিরুজ্জামান ও আকাশ হোসেন, মিজানুর রহমান (আবরারের রুমমেট), ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহা, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুল ইসলাম ও শামীম বিল্লাহ।

আবরার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা প্রত্যকেই বুয়েটের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা হলেন: মেহেদী হাসান, সিই বিভাগ (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ১৩তম ব্যাচ), মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), অনীক সরকার (১৫তম ব্যাচ), মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), ইফতি মোশারফ হোসেন (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), মনিরুজ্জামান মনির (পানিসম্পদ বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাজ, মাজেদুল ইসলাম (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোজাহিদুল (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), তানভীর আহম্মেদ (এমই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ) , জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), আকাশ (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), তানীম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোয়াজ, মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ)।


সর্বশেষ সংবাদ