শুক্রবার দুপুরের মধ্যে উপস্থিত হতে বুয়েট উপাচার্যকে আল্টিমেটাম
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০১৯, ১২:২৪ PM , আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৯, ১২:২৪ PM
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার হত্যার ঘটনায় উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলামকে আগামীকাল শুক্রবার দুপুরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের নিকট উপস্থিত হয়ে জবাবদিহি করার আহবান জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বেলা ২টার মধ্যে দেখা না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেবেন বলে তারা ঘোষণা করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বুয়েটের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে এই আলটিমেটাম দেন। এসময় আবরার হত্যার বিচারসহ তাঁদের ১০ দফা দাবির কথাও পুনরায় জানিয়ে দেন। এসব দাবিতে শিক্ষার্থীরা আজও ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
শিক্ষার্থীদের দশ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, খুনিদের শানাক্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, খুনিদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১১ অক্টোবরের মধ্যে আজীবন বহিষ্কার করতে হবে, আবরার হত্যা মামলার সব খরচ এবং ক্ষতিপূরণ বিশ্ববিদ্যালয়কে বহন করতে হবে, মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের অধীন স্বল্পতম সময়ে নিস্পত্তি করতে হবে, অবিলম্বে চার্জশিটের কপিসহ অফিসিয়াল নোটিশ দিতে হবে।
এছাড়া বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে, ঘটনার পর ভিসি কেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি এবং ৩৮ ঘন্টা পর গিয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর না দেওয়ায় আজ দুপুর ২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছে তার জবাব দিতে হবে, আবাসিক হলগুলোতে র্যাগ এর নামে এবং ভিন্নমত দমানোর নামে নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে, এ ধরণের ঘটনা প্রকাশে একটি কমন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে হবে এবং নিরাপত্তার জন্য সব হলের উইংয়ের দুই পাশে সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে এবং ১১ অক্টোবরের মধ্যে শেরে বাংলা হলের প্রভোস্টকে প্রত্যাহার করতে হবে।
উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশের সাথে ভারতের সাম্প্রতিক চুক্তি নিয়ে রোববার স্ট্যাটাস দেন আবরার। ওইদিন রাত ৮টার দিকে আবরারকে তার রুম থেকে ডেকে শেরেবাংলা হলের টর্চার সেল নামে পরিচিত ২০১১ নম্বর রুমে নিয়ে যাওয়া হয়।
রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে শেরেবাংলা হলের একতলা ও দ্বিতীয় তলার মাঝামাঝি জায়গায় আবরারকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।