২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:৫৮

আক্কাস আলীর শাস্তি নাকি পুরস্কার

  © টিডিসি ফটো

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষক আক্কাস আলীকে দুই ছাত্রীর যৌন নির্যাতনের অভিযোগে সকল ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড থেকে চার বছরের জন্য অব্যহতি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ১৬ এপ্রিল সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আক্কাস আলীকে এই শাস্তি প্রদান করা হয়। কিন্তু এই শাস্তি প্রশ্নবিদ্ধ শিক্ষার্থীদের কাছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, "আক্কাস আলীকে বহিষ্কার করা হয়েছে নাকি পুরস্কার দেয়া হয়েছে সেটিই বোঝা যাচ্ছে না। তাকে চার বছরের জন্য অব্যহতি দেয়া হলেও তিনি বেতনসহ সকল সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। আমাদের অন্যান্য শিক্ষকরা যখন রোদ-ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ক্লাস করিয়ে বেতন নিচ্ছেন আক্কাস আলী তখন ঘরে বসে বসেই বেতন পাচ্ছেন। আমাদের মতে এটা কোনে শাস্তি নয় বরং আক্কাস আলীকে পুরস্কৃত করা হয়েছে এবং আমাদের বিভ্রান্ত করা হয়েছে।"

এদিকে অভিযোগ রয়েছে উপাচার্য আক্কাস আলীকে শাস্তি প্রদান করতে ইচ্ছুক ছিলেন না। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জন্যই মূলত তিনি আক্কাস আলীকে এধরণের একটি শাস্তি প্রদান করেছেন। বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের নিকট উপাচার্য তার এই মনোভাব প্রকাশ করেছেন।

শুধু যৌন নির্যাতনই নয়, অভিযোগ রয়েছে আক্কাস আলীর নিয়োগ নিয়েও। ২০১৫ সালে যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে আক্কাস আলী নিয়োগপ্রাপ্ত হন তাতে মাস্টার্স বাধ্যতামূলক ছিলো। কিন্তু আক্কাস আলীর মাস্টার্স ডিগ্রি না থাকা সত্বেও তিনি আবেদন করেন এবং নিয়োগপ্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে মাত্র ছয় মাসের মধ্যে সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগের চেয়ারম্যান হয়ে যান এবং নিজের অধীনে নিজেই মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।

এ বিষয়ে আক্কাস আলী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।