সেকশন অফিসার থেকে বিভাগের চেয়ারম্যান ভিসির ভাতিজা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে নিজের ভাইয়ের ছেলেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার থেকে প্রভাষক হওয়ার দুই বছর পর সহকারী অধ্যাপক এবং বিভাগের চেয়ারম্যান। মামা-চাচার জোরে চাকরি পাওয়ার গালগল্প অনেক শুনেছেন। এবার জানুন ভিসি নাসিরউদ্দিন চাচার অনিয়মের গল্প।
ভিসির ভাইয়ের ছেলে খোন্দকার মাহমুদ পারভেজ ২০১৬ সালের ১১ মে সেকশন অফিসার পদে আবেদন করেন। ওই সময় তার স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ফল ছিল দ্বিতীয় শ্রেণি (৫০ শতাংশ ও ৪৮ শতাংশ)। সেইসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি সেকশন অফিসার পদে নিয়োগও পান। সেকশন অফিসার পদে বছর খানেক চাকরি করার পর এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে প্রভাষক হিসেবে ২০১৭ সালের জুন/জুলাই মাসে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয় তাকে।
এর ঠিক একবছর পর ২০১৮ সালের ২২ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়টির সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করলে খোন্দকার মাহমুদ পারভেজকে একই বছর ২৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়টির রিজেন্ট বোর্ডের ২৫তম সভায় একলাফে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর তাকে বিভাগটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বও দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, যদি প্রার্থীর গবেষণা না থাকে তাহলে প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক হতে হলে অন্তত তিন বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। শুধু তাই নয়, দুই বছরে যদি কেউ প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক হতে চান, তাহলে তাকে অন্তত একটি প্রকাশনা থাকতে হবে। অথচ খোন্দকার মাহমুদ পারভেজের এর কোনোটিই নেই বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অন্য তিন শিক্ষকের শিক্ষাগত যোগ্যতা দেওয়া থাকলেও খোন্দকার মাহমুদ পারভেজের শিক্ষা সংক্রান্ত কোনো তথ্য দেওয়া নেই সেখানে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে খোন্দকার মাহমুদ পারভেজকে ফোন করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।