বশেমুরবিপ্রবি

শহীদ মিনার নির্মাণেও জালিয়াতি!

বাস্তব শহীদ মিনার (বামে), (ডানে) ২ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা বাজেটের নির্মিতব্য কাল্পনিক শহীদ মিনার।
বাস্তব শহীদ মিনার (বামে), (ডানে) ২ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা বাজেটের নির্মিতব্য কাল্পনিক শহীদ মিনার।  © টিডিসি ফটো

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) শহীদ মিনার নির্মাণে ২০১৮ এর জুন পর্যন্ত ব্যয় করা হয়েছে ১ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা। ৪৫০ বর্গমিটার আয়তনের ২ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা বাজেটের এই শহীদ মিনারে বাস্তব অগ্রগতি দেখানো হয়েছে ৬৮.৪৮%। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডার ও স্মরণিকাতেও একটি শহীদ মিনারকে নির্মাণাধীন দেখানো হয়েছে। কিন্তু সমগ্র ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেও এধরণের কোনো নির্মাণাধীন শহীদ মিনার পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলা হলে তারাও এধরণের কোনো শহীদ মিনারের অবস্থান সম্পর্কে জানাতে পারেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, "স্মরণিকায় যে শহীদ মিনারটি দেখতে পাচ্ছেন প্রকৃতপক্ষে তার কোনো অস্তিত্ব নেই। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কাঠের অস্থায়ী শহীদ মিনার রয়েছে যেটি ২০১২ সালে নির্মাণ করা হয়। শহীদ মিনারটি বর্তমানে ভঙ্গুরপ্রায়। এখন পর্যন্ত ওই শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেই শহীদদের স্মরণ করা হয়। প্রশাসন নতুন শহীদ মিনার নির্মাণ করাতো দূরের কথা ভাঙা শহীদ মিনারটি পর্যন্ত সংষ্কার করেনি।"

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ছাত্রী হলের বিপরীত পাশে ঘাসের মাঝে একটা শহীদ মিনার রয়েছে যার উপরের অংশ প্রায় ভেঙে গিয়েছে।

এ বিষয়ে প্রকল্প উপ-পরিচালক তুহিন মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তারা শীঘ্রই শহীদ মিনারের কাজ শুরু করবেন। নির্মাণের পূর্বেই কেনো নির্মাণ ব্যয় দেখানো হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "আমরা এই খাতে কোনো অর্থ ব্যয় করিনি, বাজেট পাশের জন্যই মূলত এই ব্যয় প্রদর্শন করেছি।"

উল্লেখ্য, উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে আন্দোলন করছে বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা।


সর্বশেষ সংবাদ