দুই শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত হাবিপ্রবি পরিবার
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের আশুরার বিলে ঘুরতে গিয়ে নৌকাডুবিতে গতকাল শনিবার তিন শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অকাল মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শোকের ছায়া বিরাজ করছে। এদিন বন্ধ রাখা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরণের ক্লাস ও পরীক্ষা। একই সঙ্গে নিহতদের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার পক্ষ থেকে শোক পালন করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে দুজন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী। তারা হলেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের মেধাবী ছাত্র রাফিদ আহমেদ রাহাত এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আশফাক আহমেদ দিপ্ত।
এদের মধ্যে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের লেভেল-৩, সেমিস্টার-১ (১৭ তম ব্যাচ) এর ছাত্র রাফিদ আহমেদ রাহাতের বাসা দিনাজপুর সদরের বড় গুড়গোলা এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের লেভেল-৪, সেমিস্টার-১ (১৬ তম ব্যাচ) এর মেধাবী ছাত্র আশফাক আহমেদ দিপ্তর বাসা সদরের কালিতলা।
দুর্ঘটনায় নিহত ৩য় জন হলেন দিনাজপুর মহিলা কলেজের ছাত্রী নিশাত ফারিয়া মৌমি। তার বাসাও দিনাজপুর সদরের মধ্য বালুবাড়িতে ।
রবিবার সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলের মাঠে নিহত শিক্ষার্থী রাফিদ আহমেদ রাহাত ও আশফাক আহমেদ দিপ্তর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার নামাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেমসহ সকল স্তরের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বলেন, মর্মান্তিক দুর্ঘটনাসমূহ অত্যন্ত দুঃখের ও কষ্টের। দুর্ঘটনায় আমাদের যেসব শিক্ষার্থী মারা গেছেন তাদের জন্য আমি সমবেদনা প্রকাশ করছি। আল্লাহ তাদের পরিবারস্থ সকলকে ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা দান করুক। নিহতদের পরিবারকে সান্ত্বনা দেয়ার মতো আমার কাছে কিছু নেই।
তিনি বলেন, মৃত্যু এমন এক জিনিস যা কাউকে বলে কয়ে আসে না। কে কখন কিভাবে মারা যাবো আমরা কেউই তা জানি না। আমরা শুধু দুর্ঘটনা সমূহে এড়াতে চলাফেরায় সাবধানতা অবলম্বন করতে পারি।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা যারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাও তারা অবশ্যই এই বিষয়গুলো মাথায় রাখবে। এখান থেকে আমাদের সকলকে শিক্ষা নিতে হবে এবং চলাফেরার আরও বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে ।
নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ ও ভেটেরিনারি মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।