২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:১৪

হামলার ঘটনায় বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্যের নিন্দা

ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন  © টিডিসি ফটো

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন।

আজ দুপুর ২.১৫ তে নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে তিনি ওই নিন্দা পত্রটি প্রকাশ করেন। উপাচার্যের প্যাডে তার সাক্ষরিত "বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ কিলোমিটার দূরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় উপাচার্যের নিন্দা" শিরোনামে নিন্দাপত্রটিতে লেখা হয়েছে, "গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও হল ত্যাগের নির্দেশের পর বিশ্ববিদ্যালয়মুখী আসা শিক্ষার্থীদের ওপর দুই কিলোমিটার দূরে রাস্তায় হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বিগত চার বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কোনো হামলা হয়নি। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কোনো সহিংসতা না করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

সদর ইউএনও সাহেব গত রাতো শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বললে আমি উনাকে সাধ্যমতো নিরাপত্তা বিধানের চেষ্টার কথা বলেছি কিন্তু আমাদের এত গার্ড নেই। আপনি পুলিশ প্রহরা দিন। আমার বাসায় পুলিশ দিতে চাইলে আমি বললাম- না দরকার নেই- একজন বৃদ্ধ লোক থাকে- যাওয়ার আগ পর্যন্ত এভাবেই চলবে। আমার কোনো শত্রু নেই। আর সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার অগাধ বিশ্বাস চিরন্তন।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অনেক ধৈর্য্য ধারণ করা প্রয়োজন এবং আমি বিগত ৩২ বছর শিক্ষকতা জীবনে সেটা করে আসছি। আমি সবাইকে অনুরোধ করে আসছি- কেউ কোনো গন্ডগোল করবেন না ওরা আমারই সন্তান। আমার ধারণা এটা কেউ সাবোটেজ করার জন্য করে থাকতে পারে।

আমি শিক্ষার্থীদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সৃষ্ট ছাত্র কল্যাণ ফান্ত হতে নিয়ম মত তাদের সমস্ত ব্যয়ভার বহন করা হবে। এলক্ষ্যে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তারা রিপোর্ট দিলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সংশ্লিষ্ট সকলের মিউচুয়াল রেসপেক্ট ও ধৈর্য্য কামনা করছি।"

এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন উপাচার্যের এই বিবৃতি হাস্যকর। আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, "হামলায় উপাচার্যের স্নেহভাজন ব্যক্তিরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাই এটি নিশ্চিত যে হামলাী ঘটনা উপাচার্যের নির্দেশেই ঘটেছে। উপাচার্য নিজে হামলা করিয়ে এখন আবার নিজেই নিন্দা প্রকাশ করছেন। এটি খুবই হাস্যকর বিষয়"

উল্লেখ্য গত ২০ আগস্ট আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। এসময় শিক্ষার্থীরা গোপালগঞ্জের শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলে দূর্বৃত্তদের দ্বারা হামলার শিকার হয়। এতে প্রায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।