ভিসির পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলনে বশেমুরবিপ্রবির প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা বর্বর হামলার প্রতিবাদে এবং ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, ‘দুশ্চরিত্র’ এবং ‘অযোগ্য’ ভিসি খন্দকার নাসিরুদ্দিনের অবিলম্বে পদত্যাগের দাবি বশেমুরবিপ্রবি প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে মানববন্ধন করেছেন তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে রোববার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে তারা একাত্মতা পোষণ করে এই মানববন্ধন করে। এসময় বশেমু্রবিপ্রবির প্রাক্তন শিক্ষার্থী প্রভাত বিশ্বাস, ভবতোষ বৈরাগী, আবদুল্লাহ আল নোমান, মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, ফয়সাল হোসেন আরিফ, শিপন ভূঁইয়া সহ আরো অনেকে অংশ নেন।
মানববন্ধনে ‘ভিসির পেটোয়াবাহিনী’র অবিলম্বে গ্রেপ্তার চাই, ‘সন্ত্রাসী হামলায় প্রশাসন চুপ কেন’, ‘আমার ভাই বোনের রক্ত ঝরালে কেন, জবাব চাই জবাব চাই’, ‘দিয়েছি তো রক্ত আরো দেবো রক্ত’ স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে।
এ সময় প্রাক্তন শিক্ষার্থী শশী প্রসাদ বলেন, ‘আমাদের প্রাণের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান রক্ষার্থে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর যে বর্বরোচিত হামলা করা হয়েছে তার বিচারের দাবিতে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এই বর্বোরোচিত হামলার বিচার চাই। বাংলাদেশের জন্য তা অবশ্যই নিন্দনীয়। ভিসি শিক্ষার্থীদের যে সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে তা খর্ব করেছেন। তাই আমরা ভিসির পদত্যাগ দাবি করছি।’
আরেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী কামরুল হাসান বলেন, ‘আমরা এখানে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়েছি। আপনারা জানেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পূণ্যভূমি গোপালগঞ্জে তার নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে যে স্বপ্ন আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যে বিশ্ববিদ্যালয় করেছিলেন, সে বিশ্ববিদ্যালয়ে একজনকে বসিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এর বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। আমি মনে করি, তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদকে কলূষিত করেছেন। আমরা এ ভিসির পদত্যাগ চাই।’