ভিসির পদত্যাগ দাবিতে এবার রাজধানীতে মাঠে নামলেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে এবার রাজধানীতে মাঠে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে তারা ক্যাম্পাসে চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে তারা একাত্মতা প্রকাশ করেন।
শুক্রবার বিকেল ৩ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তারা মানববন্ধনে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অপসরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সহযোগীতা কামনা করেছেন। মানববন্ধনে থেকে দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার কথাও জানিয়েছেন তারা।
এসময় তারা জানান, ‘এই উপাচার্য দীর্ঘদিন যাবৎ শিক্ষার্থীদের সাথে স্বৈরাচারী আচরণ করছে। তার জন্য আমরাও কখনো কোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারিনি। তার স্বৈরাচারী আচরণ, দূর্ণীতি এবং অনিয়মের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ হুমকির মুখে। তাই প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দ্রুত তার পদত্যাগ দাবি করছি।’
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অযোগ্য ভিসি নাসিরউদ্দিন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, নারী কেলেংকারী, সেচ্ছাচারী, ভর্তি বানিজ্য, বিনা কারণে বহিষ্কারসহ বাক স্বাধীনতা হরনের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তার পদত্যাগের দাবি নিয়ে আমরন অনশন করছে শিক্ষার্থীরা। আমরা প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা তাদের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করছি। আমাদের এক কথা এক দাবি এ দূর্ণীতিবাজ ভিসির পদত্যাগ চাই।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃষ্ট বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাবান্ধব, ন্যায্য ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে সচেতন শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে ১৬ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে গতকাল সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পক্ষ থেকে এসব দাবি জানানো হয়েছে।
দাবির বিষয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, আমরা যে দাবিগুলো জানিয়েছি সেগুলো আমাদের ন্যায্য অধিকার। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই অধিকারগুলো পাওয়ার জন্য এখন আমাদের দাবি জানাতে হচ্ছে। বর্তমানে আমাদের দাবিগুলোর পক্ষে অবস্থানরত শিক্ষকের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা আমাদের দাবিগুলো বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন এবং দাবিগুলো আদায়ে সর্বোচ্চ সচেষ্ট থাকবো।
শিক্ষার্থীদের চলমান আমরণ অনশনের দীর্ঘ ২৪ ঘন্টারও বেশী সময় পার হওয়ার পরেও সংশ্লিষ্ট মহল থেকে ইতিবাচক কোন সাড়া না পাওয়ায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন তারা। তারা জানিয়েছেন, ভিসির পতদ্যাগ না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।