২৮ জুন ২০১৯, ১৭:১৯

সিট দখল নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত শতাধিক

  © টিডিসি ফটো

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) হলের সিট দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় শতাধিক ছাত্র আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শেখ রাসেল হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রুহুল কুদ্দুস জোহা ও হলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোরশেদুল আলম রনির নিয়ন্ত্রণাধীন কক্ষগুলো দেশীয় অস্ত্রসহ দখল করতে যায় কমিটির কার্যকরী সদস্য নাহিদ আহমেদ নয়ন নেতৃত্বাধীন কর্মীরা। এ সময় রুহুল কুদ্দুস জোহা-মোরশেদুল আলম রনির নেতৃত্বাধীন কর্মীরা বাঁধা দিতে গেলে জোহা-রনি ও নয়ন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, রাত সাড়ে ১০টা থেকে ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলতে থাকে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে নাহিদ আহমেদ নয়ন নিজের কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে তিনটি ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতংক সৃষ্টির করে। এসময় দুই গ্রুপ পাল্টাপাল্টি ইট পাটকেল ছোড়াছুড়ি করলে দুই গ্রুপের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।

আহতদের মধ্যে মামুনুর রশিদসহ আরো দুই জনকে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি এবং অন্যান্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে জোহা গ্রুপের সাথে অন্যান্য হলের ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা যোগ দিলে নয়ন গ্রুপ পিছু হটতে শুরু করে।

এ বিষয়ে জানতে হাবিপ্রবির সাবেক ছাত্র নেতা নয়নের সাথে যোগাযোগ করলে ব্যস্ত আছে বলে ফোন রেখে দেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্র নেতা জানান, নাহিদ আহমেদ নয়নের ছাত্রত্ব না থাকলেও সে ক্যাম্পাসে অবৈধভাবে অবস্থান করছে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের উস্কানি দিয়ে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এর আগে সে ক্যাম্পাসের এক আনসার সদস্যকে মারপিট ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদেরকে হুমকি প্রদান করে। যে কারণে হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি তাকে নিজের ব্যক্তিগত সহকারী পদ থেকে অব্যাহতি দেয়।

সংঘর্ষের বিষয়ে হাবিপ্রবির প্রক্টর ডা. মো. খালেদ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনাটি আমি শুনেছি। ছাত্রলীগের হল শাখার দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন ছাত্র আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। বিষয়টি আমরা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ক্ষতিয়ে দেখব।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডা. মো. ফজলুল হক বলেন, ঘটনাটি আমি শুনে কিছুটা অবাক হয়েছি। একজন প্রকৃত ছাত্র কিংবা ছাত্রলীগ আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে রাখতে পারে না। এটা মূলত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। আমরা ছাত্রদের কাছ একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।