গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানোসহ ১৬ দফা দাবিতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানোসহ ১৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রেখেছেন। এছাড়া দাবি মানতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার মাধ্যমে তিন দিনের আল্টিমেটামের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
শনিবার সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারের পাদদেশে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
চলমান আন্দোলন সম্পর্কে ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাকিব হাসান বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসকে সংরক্ষিত রাখার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছি। যার সবগুলোই ক্যাম্পাস সম্পর্কিত। দাবি না মানা পর্যন্ত অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- বুয়েট গেটের জন্য সিভিল-আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টের বিশেষজ্ঞ স্যারদের নিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে ও ডিজাইনের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা আয়োজন করার অফিসিয়াল নোটিশ দিতে হবে; বিতর্কিত নতুন ডিএসডাব্লিউ (ছাত্রকল্যাণ পরিচালক) কে অপসারণ করে ছাত্রবান্ধব ডিএসডাব্লিউ নিয়োগ দিতে হবে; ছাত্রী হলের নাম ‘সাবেকুন নাহার সনি হল’ হিসেবে নামকরণ করতে হবে; ১০৮ ক্রেডিট অর্জনের পর ডাবল সাপ্লি দেওয়ার যে পদ্ধতি গত টার্মে চালু হয়েছিল সেটা পুনর্বহাল রাখতে হবে; আবাসিক হলগুলোর অবকাঠামোগত যেসব কাজ ভিসি স্যারের অফিসে আটকে আছে সেটা ক্লিয়ার করতে হবে; সিয়াম-সাইফ সুইমিংপুল কমপ্লেক্স স্থাপনের জন্য ভিসি স্যারের সিগনেচারে নোটিশ দিতে হবে।
এছাড়াও নির্মাণাধীন টিএসসি ভবন ও নেম ভবনের কাজ শুরু করতে হবে; নিয়মিত শিক্ষক মূল্যায়ন প্রোগ্রাম চালু করতে হবে; বুয়েটের যাবতীয় লেনদেনের ডিজিটালাইজেশান প্রক্রিয়ার অফিয়াল উদ্যোগ নিতে হবে; নির্বিচারে ক্যাম্পাসের গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে; কেন গাছ কাটা হয়েছে সেটার ব্যাখ্যা দিতে হবে; যতোগুলো গাছ কাটা হয়েছে তার দ্বিগুণ গাছ ভিসি স্যারকে উপস্থিত থেকে লাগাতে হবে; গবেষণায় বরাদ্দ বাড়াতে হবে; প্রাতিষ্ঠানিক মেইল আইডি দিতে হবে; বুয়েট ওয়াইফাই আধুনিকায়ন করতে হবে; ব্যায়ামাগার আধুনিকায়ন করতে হবে; বুয়েট মাঠের উন্নয়ন করতে হবে এবং পরীক্ষার খাতায় রোলের পরিবর্তে কোড সিস্টেম চালু করতে হবে।
আন্দোলনকারীরা শিক্ষার্থীরা জানান, উল্লেখিত দাবি গুলো আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন অবস্থান কর্মসূচি অব্যহত থাকবে।