২৩ মে ২০১৯, ২০:২১

বিশ্ববিদ্যালয় ও উপাচার্যকে জড়িয়ে ছাত্রলীগ নেত্রীর অভিযোগ অসত্য

হুমায়রা আজমিরা এরিন

হাইকোর্টের আদেশ অমান্য, বহিষ্কৃত একজন ছাত্রকে পরীক্ষা দিতে না দেওয়া এবং উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনকে জড়িয়ে সংবাদ সম্মেলনে অসত্য, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও কল্পিত তথ্য দিয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) থেকে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও অসদাচরণের দায়ে আজীবন বহিষ্কৃত শেখ হাসিনা হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়রা আজমিরা এরিন।

বৃহস্পতিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে এরিনের বক্তব্য প্রকাশিত হওয়ার পর তার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে বুধবার যশোর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের শুরুতে এরিন দাবি করেন, মহামান্য হাইকোর্টের তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থগিতাদেশের কপিসহ আবেদন করলেও গতকাল বুধবার বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী হারুন অর রশীদকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিবৃতিতে বলা হয়, প্রকৃত সত্য হলো অভিযোগকারী শিক্ষার্থী হারুন অর রশীদ স্ব-শরীরে না এসে একজন বাহকের মাধ্যমে তার বিভাগে ওই আবেদনপত্র জমা দেন। বিভাগে তার পরীক্ষার প্রবেশপত্র প্রস্তুতও ছিল। কিন্তু তিনি প্রবেশপত্রও সংগ্রহ করেননি। নিজ বিভাগে এসে পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহের চেষ্টা না করে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি মর্মে ফেসবুকে লাইভ করে চলে যান। পরে তিনি যশোর প্রেসক্লাবে গিয়ে এরিনের সাথে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন।

তবে গত বুধবার সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও বিভাগ কর্তৃক প্রেরিত হয়ে আবেদনপত্র উপাচার্য দপ্তরে পৌঁছায় বেলা ১১টায়। তাছাড়া হাইকোর্টের আদেশের কপি এখনো যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষের কাছে এসে পৌঁছায়নি। তাহলে যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ কিভাবে হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করলো? রায়ের কপি পেলে অবশ্যই আদালতের প্রতি যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

এরিন অভিযোগ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন পরিকল্পিতভাবে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করেছেন।

এরিন উপস্থাপিত এ তথ্যও সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশক্রমে ডিসিপ্লিনিরারি কমিটির অগ্রায়নের ভিত্তিতে তাদের অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ড বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। এখানে এককভাবে ব্যক্তি বিশেষের পরিকল্পনার কোনো সুযোগ নেই।

সংবাদ সম্মেলনে এরিন নৈতিকতার শেষ ধাপে নেমে উপাচার্য ‘একা ছাত্রী হলে’ প্রবেশের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে ইতিপূর্বে শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের প্রভোস্ট ড. সেলিনা আক্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ঘটনার প্রকৃত তথ্য জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। আর এরিন যে সমস্ত ছাত্রীদের হলের গেট থেকে জোর করে ধরে এনে উপাচার্যের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ করতে বাধ্য করেছিল, সেই তথ্যও হল কর্তৃপক্ষের কাছে রয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে।