সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং মানবসভ্যতার অন্যতম মৌলিক স্তম্ভ: রুয়েট উপাচার্য
মানবসভ্যতার বিকাশে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গুরুত্ব তুলে ধরে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং মানবসভ্যতার অন্যতম মৌলিক স্তম্ভ। প্রাচীন অবকাঠামো থেকে শুরু করে আজকের স্মার্ট শহর, উচ্চ গতির পরিবহন ব্যবস্থা, স্থিতিশীল উন্নয়ন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রসমূহে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারবৃন্দ বিশ্বকে প্রাসঙ্গিক করে তোলার ক্ষেত্রে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে চলেছে। এমন অবস্থায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আরও উৎকর্ষ সাধনের জন্য উন্নত গবেষণা এবং উদ্ভাবনের গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে রুয়েটে আয়োজিত ‘সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন্স’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স (আইসিসিইআই) ২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। রুয়েটের অডিটরিয়ামে তিন দিনব্যাপী (১২-১৪ ডিসেম্বর) এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের আয়োজন করেছে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিই) বিভাগ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান, জাপানের ইয়োকোহামা ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. তাকায়ুকি সুজুকি, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. আফজাল হোসেন এবং সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এ এস এম ইলিয়াস শাহ। কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. এস এম জহুরুল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন আয়োজক কমিটির সেক্রেটারী ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রবিউল আওয়াল।
কনফারেন্সের আয়োজকদের দেয়া তথ্যমতে, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ১১টি মৌলিক বিষয়ের ওপরে আয়োজিত এ কনফারেন্সে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চীন ও থাইল্যান্ডসহ দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৪৭৫ জন একাডেমিশিয়ান ও গবেষকরা অংশ নিয়েছেন।
এবারের কনফারেন্সে জন্য সর্বমোট মোট ১ হাজার ১৯৬টি পেপার জমা পড়ে। যার মধ্যে গৃহীত হয় ৪৮৬টি পেপার। গৃহীত পেপারের মধ্যে ৪৭৫টি টেকনিক্যাল পেপার এবং ১১টি কি-নোট পেপার রয়েছে। কনফারেন্সে সর্বমোট ৫৪টি টেকনিক্যাল সেশন ও ৪টি কি-নোট সেশন অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে তিন দিনব্যাপী আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠান আগামী ১৩ ডিসেম্বর (শনিবার) সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় রুয়েটের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। সমাপনী অনুষ্ঠানে কনফারেন্সে উপস্থাপিত পেপারের মধ্য থেকে বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
১৪ ডিসেম্বর (রবিবার) আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে কনফারেন্সের শেষ দিনে কনফারেন্স ট্যুরের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত কনফারেন্স ট্যুরের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা রাজশাহী অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য সিভিল অবকাঠামো, কাঠামোগত প্রকৌশল স্থান পরিদর্শনের সুযোগ পাবেন।