যোগ্যরাই কেবল সম্মানিত হবে: যবিপ্রবি উপাচার্য
- যবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২০ মে ২০১৯, ০৪:৩৪ PM , আপডেট: ২০ মে ২০১৯, ০৪:৪২ PM
বিশ্ববিদ্যালয়সহ সর্বক্ষেত্রে যোগ্যরাই কেবল সম্মানিত হবে উল্লেখ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ‘আমার কাছে সেই সবচেয়ে বেশি সম্মানিত হবে, যে কাজ করবে। কাজই তাঁকে বলে দিবে, তিনি সম্মানিত হবেন নাকি অসম্মানিত হবেন। মনে রাখবেন, যোগ্যতাই আপনার যেকোনো প্রাপ্তির জন্য যথেষ্ট। সুতরাং আপনারা নিজের দায়িত্ব কখনো অবহেলা করবেন না।’
সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও মানোন্নয়নের জন্য কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার দ্বিতীয় ধাপের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, নিজের দায়িত্ব কি সেটা বুঝতে হবে। আমার সীমানা কোন পর্যন্ত সেটা সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। আমি যদি আমার সীমানার মধ্যে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করি, তাহলে আমি খুব ভালো মানুষ। আর না করলে আমি একজন খারাপ মানুষ হিসেবে পরিচিত হবো।
তিনি বলেন, একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী, যে আমার কক্ষের দরজাটা প্রতিদিন খুলে দেয়, তাঁর কাজটি যদি তিনি নিষ্ঠার সাথে করেন। আর আমি যদি আমার কাজ সঠিকভাবে না করি, তাহলে ওই চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আমার চেয়ে ভালো মানুষ। আমার কাজই আমাকে বলে দেবে, আমি ভালো মানুষ না খারাপ মানুষ। আমার কাছে ওই ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি সম্মানিত, যে নিজের কাজটা সঠিকভাবে করে। আর যে নিজের কাজটা সঠিকভাবে করবে না, আমি তাকে অসম্মানিত ব্যক্তি বলে ধরে নেব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীবের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, হিসাব দপ্তরের পরিচালক মো. জাকির হোসেন ও উপ-পরিচালক জি এম দীন মোহাম্মদ, প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. দীপক কুমার মন্ডল, উপ-রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ এমদাদুল হক, অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম, কর্মচারী সমিতির সভাপতি এস এম সাজেদুর রহমান জুয়েল প্রমুখ।
দুই ধাপের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের প্রায় ২৬০ জন কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কে এম আরিফুজ্জামান সোহাগ।