যবিপ্রবিতে ত্রুটিপূর্ণ রাস্তা নির্মাণ, পুনর্নির্মাণের নির্দেশ যবিপ্রবি উপাচার্যের
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শহীদ মসিয়ূর রহমান হল ও মুন্সী মেহেরুল্লাহ হল-সংলগ্ন রাস্তায় ব্লক বসানোর কাজে প্রকৌশল দপ্তরের গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। এদিকে পরিদর্শনে এসে কাজে অসগংতি পেয়ে পুনর্নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ।
সরজমিনে দেখা যায়, ২ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হল-সংলগ্ন রাস্তায় ইট-পাথরযুক্ত বালু ফেলে তার ওপর ব্লক বসানোর কাজ চলছে। সেখানে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো তদারকি দেখা মেলেনি। নির্মাণশ্রমিকরা প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ছাড়ায় হাত দিয়ে অনুমান করে ব্লক বসাচ্ছেন। এতে এক ব্লক থেকে অন্য ব্লকের ফাঁকা জায়গার পরিমাণ অনেক বেশি থাকছে, বিভিন্ন জায়গায় উঁচু-নিচুও রয়েছে। কয়েকজন শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক দৃশ্যমান কাজের এসব ত্রুটি ধরেন। সে সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী ও নির্মাণ এলাকা পরিদর্শনকারীর কাউকেই সেখানে পাওয়া যায়নি। এসব দেখে ক্ষুব্ধ হন শিক্ষার্থীরা।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের শিক্ষার্থী মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে হল-সংলগ্ন রাস্তায় পানি জমে থাকত, এরপর আমরা বারবার দাবি জানানোর পর রাস্তার কাজ শুরু করলেও আর যেন শেষ হচ্ছে না। রাস্তায় ব্লক বসানোর ত্রুটিপূর্ণ, মাপজোখে গরমিল ও অপেশাদার কাজ শিক্ষার্থীরা প্রত্যক্ষ করলাম। কাজ সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে কি না, সেটা সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষণের জন্য প্রকৌশল দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউকে সেখানে উপস্থিত দেখিনি। তাহলে ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তর কি করে? তাদের কাজ কি? প্রায় সকল কাজে আমরা ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তরের চরম অবহেলা লক্ষ্য করছি। উন্নয়নের নামে বছর বছর সংস্কারের সুযোগ তৈরি করে জনগণের কষ্টার্জিত বাজেট অপচয়ের এমন কার্যক্রম কাম্য নয়। পরিকল্পিতভাবে টেকসই রাস্তা নির্মাণ না করলে শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।’
এ বিষয়ে জানতে প্রধান প্রকৌশলী অধ্যাপক ড. এইচ এম জাকির হোসেনকে ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।
পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদের নজরে আনলে তিনি নিজেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় তিনি দেখতে পান কাজে অবহেলা, নিম্নমানের তদারকি এবং অপেশাদারিত্ব রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে উপাচার্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রকৌশলীদের রাস্তায় ব্লক বসানোর কাজটি নতুন করে সঠিক মান বজায় রেখে পুনরায় করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ত্রুটিপূর্ণ ব্লকগুলো ব্যবহার না করারও নির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময় নির্মাণ শ্রমিকদের সঠিকভাবে কাজ দেখিয়ে দিতে দেখা যায় উপাচার্যকে।
উল্লেখ, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই হল-সংলগ্ন রাস্তাটি কয়েক মাস ধরে নির্মাণাধীন। এতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। কাজে শীতলতার বিষয়ে একাধিকবার শিক্ষার্থীরা জানতে চাইলে এক দপ্তর আরেক দপ্তরকে দোষারোপ করে বলে জানা যায়।