২২ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩৭

নতুন একাডেমিক ভবনের ক্লাস–ল্যাবে ইন্টারনেট না থাকায় বিপাকে পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © সংগৃহীত

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) নতুন নির্মিত একাডেমিক বিল্ডিং–১ ও একাডেমিক বিল্ডিং–২ উদ্বোধনের পর তিন মাস পার হলেও এখনো ক্লাস ও ল্যাবরুমে ইন্টারনেট সংযোগ চালু হয়নি। শুধুমাত্র বিভাগীয় অফিসগুলোতে সীমিত ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়া হলেও শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও ল্যাব কার্যক্রম এখনো পুরোপুরি ইন্টারনেটবিহীন অবস্থায় চলছে।

ইউ-শেইপ ভবনে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ ছাড়াও গণিত, পরিসংখ্যান ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। অন্যদিকে আই-শেইপ ভবনে রয়েছে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ও বিজ্ঞান অনুষদের বেশ কয়েকটি বিভাগ। এত সংখ্যক বিভাগ থাকা সত্ত্বেও ভবন দুটিতে স্থায়ী ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় প্রতিদিন শতাধিক ক্লাস ও ল্যাব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, ল্যাব সফটওয়্যার, প্রেজেন্টেশন, রিসার্চ উপকরণ, অনলাইন ক্লাস রিসোর্স সবকিছুর জন্য ইন্টারনেট অপরিহার্য। কিন্তু নেটওয়ার্ক না থাকায় ব্যক্তিগত খরচে মোবাইল ডেটা ব্যবহার করতে হচ্ছে, যা ব্যয়বহুল এবং অকার্যকর। বারবার অভিযোগ করেও কোনো সমাধান পাওয়া  যাচ্ছেনা।

একাডেমিক বিল্ডিং–১ এর ইইসিই বিভাগের শিক্ষার্থী আরমান বলেন, তিন মাস আগে ভবন উদ্বোধনের সময় বলা হয়েছিল খুব দ্রুতই ইন্টারনেট দেওয়া হবে। কিন্তু এখনো কোনো সংযোগই দেওয়া হয়নি। ল্যাবের কাজ করতে আমাদের নিজের টাকায় ডেটা কিনতে হচ্ছে এটা খুবই কষ্টকর। আধুনিক একাডেমিক ভবনে ইন্টারনেট না থাকা সত্যিই হতাশার।

একাডেমিক বিল্ডিং ২ এর আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের অনেক ল্যাব সফটওয়্যার, গবেষণার উপকরণ ও ক্লাসের রিসোর্স অনলাইনে নির্ভরশীল। ইন্টারনেট না থাকায় প্রতিদিন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অনেক সময় ক্লাসে স্লাইডও ঠিকভাবে চালানো যাচ্ছে না। আমরা আশা করি দ্রুত ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হবে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুর রহিম বলেন, আমরা আপাতত টেম্পোরারি ভিত্তিতে শুধু বিভাগীয় অফিসগুলোতে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়েছি। ইউজিসি থেকে আমাদের বাজেট এখনো আসেনি। ডিসেম্বর মাসে বাজেট পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ভবনসহ পুরো ক্যাম্পাসের নেটওয়ার্ক উন্নয়ন করা হবে। আই-শেইপ ভবনের প্রতিটি ফ্লোরেই সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছি, তবে ক্লাসরুম ও ল্যাব পর্যন্ত পুরো ব্যবস্থা সম্পন্ন করতে বাজেট প্রয়োজন। বাজেট পেলেই খুব দ্রুত শিক্ষার্থীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ ইন্টারনেট সংযোগ চালু করা হবে।