হাবিপ্রবি মজার স্কুলের নতুন কমিটি
‘নিরক্ষরমুক্ত দেশ গড়া, মজার ছলে শেখাবো মোরা’ এ প্রতিপাদ্যে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) একদল তরুণ উদ্যমী শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় ২০১৫ সালে শহিদুল ইসলাম ফাহিমের হাত ধরে পথ চলা শুরু করে এইচএসটিইউ মজার ইস্কুলের। সংগঠনৃটির নতুন কমিটির অনুমোদন করা হয়েছে। কমিটিতে সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন কৃষি অনুষদের লেভেল-৩ সেমিস্টার-২ এর শিক্ষার্থীরাগীব হাসান সিফাত, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ হিসেবে মনোনীত হয়েছেন একই ব্যাচের শিক্ষার্থী অনামিকা সান্যাল ও আসমাউল হুসনা মীম।
এছাড়া কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে হুমাইরা সিদ্দিকা স্নেহা, সামযানা হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাব্বির হোসাইন সাকিল এবং ফারহানা আফরোজ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিবুল হাসান শান্ত।
কমিটিতে প্রচার সম্পাদক মৃন্ময় কুন্ডু দীপ, সহ-প্রচার সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রনি, দপ্তর সম্পাদক ফাহমিদুল ইসলাম রেদোয়ান, শিক্ষা ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক আফিয়া মারইয়াম, শিক্ষক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক শাহজাহান কবির, পাঠাগার সম্পাদক আবু রাইহান, গ্রাম পরিদর্শন বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত হাসান বাঁধন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক নাজমিন আক্তার লিজা, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে আব্দল্লাহ আল মুবাশ্বির, নারী বিষয়ক মৈত্রী রায় তুলি, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সায়মা আক্তার হ্যাপি, কার্টুন ও ডকুমেন্টরী বিষয়ক সম্পাদক নূরে জান্নাত নিপু, অনুষ্ঠান বিষয়ক সম্পাদক যারীন শাইমা শ্যামা নির্বাচিত হয়েছেন।
কার্যনিবাহী কমিটির উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার এবং প্রফেসর ড. মো. তারিকুল ইসলাম, মেডিসিন, সার্জারি এন্ড এনিমাল ব্রিডিং বিভাগের প্রফেসর ডা. মো. ফজলুল হক। জেনেটিক্স এন্ড এনিমাল ব্রিডিং বিভাগের প্রফেসর ড. আব্দুল গাফফার মিয়া, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মহিদুল হাসান, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবু সাঈদ, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম, একাউন্টিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৌরভ পাল চৌধুরী জর্জ, কৃষি রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাজেদুর রহমান, উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. হাসানুর রহমান রাজু, ফিজিওলজি এন্ড ফার্মাকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোছা. মিসরাত মাসুমা পারভেজ।
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফাহিম জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে আমাদের এই ইস্কুল।বর্তমানে এখানে ১৫০ জনের মতো ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। এই সুবিধাবঞ্চিত শিশুরাও যেন শিক্ষায় আলোয় আলোকিত হতে পারে এই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। স্যারদের সহযোগিতায় আমরা এসব শিশুদের শিক্ষা উপকরণ বই, খাতা, পেন্সিল ইত্যাদি সরবরাহ করারও চেষ্টা করে যাচ্ছি। পাশাপাশি বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে তারাও যেন আনন্দ উপভোগ করতে পারে সেজন্য নতুন জামা-কাপড়ের ব্যবস্থা করে থাকি আমরা। এছাড়া সম্প্রতি তাদের জন্য বিভিন্ন শিক্ষামূলক গল্পের বই দিয়ে আলোর পাঠাগার নামে একটি লাইব্রেরীর করার চেষ্টা করছি। এসব শিশুদের মুখে হাসি ফুটাতে আমি আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করছি ।
নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি রাগীব হাসান সিফাত এবং সাধারণ সম্পাদক অনামিকা স্যানাল তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যেন সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে পালন করতে পারেন সেজন্য সকলের দোয়া এবং সহযোগিতা কামনা করেছেন।