২৬ আগস্ট ২০২৫, ২০:২৬

বুটেক্সে আন্তর্জাতিক ফাইবার ও পলিমার সম্মেলন শুরু, বৈশ্বিক গবেষকদের সমাগম

বুটেক্স ক্যাম্পাসে দুই দিনব্যাপী আইসিএফপি সম্মেলন শুরু হয়েছে  © সংগৃহীত

দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ফাইবার ও পলিমার উপাদান সম্মেলন (আইসিএফপি-২০২৫) মঙ্গলবার ঢাকায় শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অব ফাইবার সায়েন্স (এসএফএসবি) আয়োজিত এ সম্মেলনে সহ-আয়োজক হিসেবে রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি (আইএসইউ) ও বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স)। দুই দিনব্যাপী এ আয়োজন বুটেক্স ক্যাম্পাসে (তেজগাঁও) অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা চলবে ২৬-২৭ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

সম্মেলনের সভাপতিত্ব করছেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব ফাইবার সায়েন্সের সভাপতি ও জাপানের শিজুওকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এম. এ. বারিক। আন্তর্জাতিক অঙ্গনের বিশেষ অতিথিদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক তাকেশি কিকুতানি (সাবেক সভাপতি, দ্য ফাইবার সোসাইটি অব জাপান ও ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স টোকিও), অধ্যাপক ক্যারোলিন এল. শাওয়ার (সভাপতি, ফাইবার সোসাইটি ইউএসএ), ড. রুডলফ হুফেনুস (ইএমপিএ, সুইজারল্যান্ড), অধ্যাপক সুভাবুন চিরাচাঞ্চাই (থাইল্যান্ড), অধ্যাপক সীরাম রামাকৃষ্ণ (সিঙ্গাপুর), অধ্যাপক হান ইয়ং (কোরিয়া), অধ্যাপক শুইচি তানোয়ে (সভাপতি, জাপান সোসাইটি অব টেক্সটাইল মেশিনারি) ও অধ্যাপক কোজি নাকানে (জাপান)।

বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও পেশাজীবীদের মধ্যে উপস্থিত আছেন বুটেক্সের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাশ উদ্দিন; আইএসইউর প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল কাশেম; আইএসইউর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এইচটিএম ক্বাদার নেওয়াজ; এবং ইইউবির অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ, গবেষক, শিল্পখাতের নেতা, নীতিনির্ধারক ও শিক্ষার্থীরা এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।

নিজ বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এম. এ. বারিক বলেন, এ সম্মেলন বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও পলিমার খাতকে বিশ্বমানের গবেষণা ও প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি উল্লেখ করেন, এ আয়োজন দেশের টেক্সটাইল ও পলিমার শিল্পে নতুন গবেষণার দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং তাদের বৈশ্বিক উপস্থিতি আরও সুদৃঢ় করবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, ফাইবার ও পলিমার বিজ্ঞান এখন আর কেবল বস্ত্র শিল্পের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, বরং স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ সুরক্ষা, মহাকাশ গবেষণা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির মতো ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশি গবেষক ও শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে জ্ঞান বিনিময়ের সুযোগ পাবেন, যা বাংলাদেশের বৈশ্বিক টেক্সটাইল ও পলিমার অঙ্গনে অবস্থানকে শক্তিশালী করবে।

আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: ভিপি-জিএস পদে কার ব্যালট নম্বর কত

বক্তারা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির মূলভিত্তি এখনো টেক্সটাইল শিল্প। তারা আশা প্রকাশ করেন, এ সম্মেলন কেবল নতুন গবেষণা নয়, বরং নীতিমালা প্রণয়ন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও উদ্ভাবনী পণ্য উন্নয়নের ক্ষেত্রেও অবদান রাখবে, যা দীর্ঘমেয়াদে শিল্প খাতের জন্য ইতিবাচক প্রভাব বয়ে আনবে।

আলোচনার প্রধান বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে টেকসই টেক্সটাইল, পরিবেশবান্ধব ফাইবার, ইলেকট্রনিক ও মেডিকেল টেক্সটাইল, ন্যানোফাইবার, পুনর্ব্যবহৃত ফাইবার, মসলিন, জিওটেক্সটাইল, কার্বন ফাইবার, গ্লাস ফাইবার, স্পিনিং, উইভিং, ওয়েট প্রসেসিং, ফাইবার উৎপাদনের জন্য পলিমার উন্নয়ন, ফাইবারের গঠন ও বৈশিষ্ট্য, কম্পোজিটস, ফাইবারভিত্তিক উপাদান এবং তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাত। আয়োজকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে এ সম্মেলন বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও পলিমার শিল্পে নতুন উদ্ভাবন, গবেষণা ও সহযোগিতার দিগন্ত উন্মোচন করবে।