২০ আগস্ট ২০২৫, ২০:৩৩

ভবন-জমি নেই, ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের অব্যবহৃত কক্ষে শুরু হচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম

বগুড়া ভিটিটিআই  © সংগৃহীত

নিজস্ব জমি কিংবা স্থায়ী ভবন ছাড়াই শুরু হচ্ছে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। আপাতত জেলা শহরের ভোকেশনাল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (ভিটিটিআই) অব্যবহৃত কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি আমলে নিয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে বিস্তারিত জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম কাশেম।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বগুড়ায় অবস্থিত ‘ভোকেশনাল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট' এর অব্যবহৃত কয়েকটি কক্ষ বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে ব্যবহারের লক্ষ্যে নিম্নোক্ত তথ্যাদি প্রেরণের জন্য বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের  উপাচার্যকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

যে সকল তথ্য চাওয়া হয়েছে, বগুড়ায় ভোকেশনাল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর কতটি কক্ষ আবশ্যক তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা; কক্ষগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের কি উদ্দেশ্যে /প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে; কক্ষগুলো ব্যবহারের বিষয়ে ভোকেশনাল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর সম্মতি গ্রহণ করা হয়েছে কিনা এবং প্রস্তাবিত কক্ষগুলো ভাড়ার বিনিময়ে ব্যবহার করা হবে কিনা।

প্রসঙ্গত, পতিত আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদের শেষ দিকে ২০০১ সালে বগুড়ায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। তবে ২০০১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতার পালাবদলের পর এই বিশ্ববিদ্যালয়টি আর চালু হয়নি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরও বিশ্ববিদ্যালয় চালুর উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। তবে পুরাতন ওই আইনটিতে পাশ কাটিয়ে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে ২০২০ নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে মন্ত্রীসভায় বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০২০ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদনও দেয়। অবশ্য এর পর ওই আইনটি আর আলোর মুখ দেখেনি। অন্তর্বর্তী সরকার ২০০১ সালের আইনটি কার্যকর করে বিশ্ববিদ্যালয়টি চালু করার অনুমোদন দিয়েছে। চলতি বছরের ৩ জুন বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দেয় সরকার।