১৮ আগস্ট ২০২৫, ২৩:৩৬

জাতীয় মৎস্য পদক পেলেন শেকৃবির অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব

জাতীয় মৎস্য পদক তুলে দিচ্ছেন ড. ইউনূস  © সংগৃহীত

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব জাতীয় মৎস্য পদক ২০২৫ অর্জন করেছেন। রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার হাতে পদক তুলে দেন।

অধ্যাপক হাবীবের মৎসখাতে উল্লেখযোগ্য বহুমুখী অবদানের মধ্যে রয়েছে, দেশে প্রথমবারের মতো ইলিশ মাছ কৌটাজাতকরণের প্রযুক্তি এবং নিরাপদ শুঁটকি উৎপাদনে ‘স্মার্ট সোলার সান ড্রায়ার’ উদ্ভাবন। এর পাশাপাশি তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘বাংলাদেশ সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য পোর্টাল’ ও ‘বাংলাদেশ মিঠাপানির জীববৈচিত্র্য পোর্টাল’। 

এছাড়াও, তিনি সেন্ট মার্টিন ও সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য নিয়ে গবেষণাধর্মী বই লিখেছেন এবং ইউনেস্কোর সহযোগিতায় দেশের প্রথম প্রবাল ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন। দেশের  মাধ্যমিক স্তরের কৃষি শিক্ষা বইয়ে মৎস্যবিজ্ঞান অংশের লেখক হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতকরণ নিয়ে তার লেখা বই আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও প্রশংসিত হয়েছে।

মৎস্য ও সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ে তার প্রকাশিত প্রবন্ধের সংখ্যা ৬০-এর বেশি। তার উদ্যোগে বাংলাদেশের সামুদ্রিক মাছের প্রজাতির তালিকা ৭৪০-এ উন্নীত হয়, যা পূর্বপ ৪৭৫ ছিল। ইউনেস্কোর সহযোগিতায় তিনি প্রথমবারের মতো ই-ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুন্দরবনের জলজ জীববৈচিত্র্যের সমীক্ষা পরিচালনা করেন। তার উদ্ভাবিত মৎস্যপণ্যের প্রযুক্তি আন্তর্জাতিক পেটেন্টও লাভ করেছে।

বর্তমান দেশবরেণ্য মৎস্য বিজ্ঞানী অধ্যাপক হাবীব আন্তর্জাতিক সংস্থার বৈজ্ঞানিক কমিটিতে দায়িত্ব পালন করছেন এবং শেকৃবিতে ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদ চালু করায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

শেকৃবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল লতিফ বলেন, “এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গর্বের বিষয়।” উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ বেলাল হোসেন ও ট্রেজারার প্রফেসর মোঃ আবুল বাশারও তাকে অভিনন্দন জানান।