নুসরাত হত্যা

দ্রুত বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে: যবিপ্রবি উপাচার্য

বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের অংশগ্রহণে নুসরাত হত্যার বিচার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের অংশগ্রহণে নুসরাত হত্যার বিচার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন।  © রাজিব কুমার মন্ডল

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, নুসরাত হত্যার বিচার দ্রুততম সময়ের মধ্যে করে বাংলাদেশে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। যেন পরবর্তীতে আর কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে সাহস না করে। ফেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার দ্রুত বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, শুধু যে ফেনীর মাদ্রাসায় এমন ঘটনা ঘটেছে তা নয়, বাংলাদেশের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারীরা আজ নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এসব হায়েনাদের মূলোৎপাটন করতে হবে। র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিংয়ের নামে ছাত্র-ছাত্রী হয়রানির শিকার হয়েছে। র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়ে আর কেউ যেন মানসিক পীড়ায় না থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। নুসরাত হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন আয়োজন করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান উপাচার্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, ফেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতের অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় লড়াই থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে, এ রকম পরিণতি যেন আর কোনো মেয়ের ভোগ করতে না হয়।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. নাজমুল হাসান মানববন্ধনে একাত্মতা জানিয়ে বলেন, আমরা এ জঘন্য হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি, যাতে বাংলার আপামর জনসাধারণ পুলিশ এবং বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা আনতে পারে।

শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ ড. সেলিনা আক্তার বলেন, নুসরাতকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় শুধু পুরুষই ছিল না, দুজন নারীও জড়িত ছিল বলে আমরা জেনেছি। অর্থাৎ অপরাধীদের কোনো লিঙ্গ হয় না। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা এখন সময়ের দাবি।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফিকুর রহমান অয়ন বক্তৃতা করেন। তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময় নারীরা সবক্ষেত্রে যখন এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক এ সময়ে এই ধরনের হত্যাকান্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ইতিমধ্যে নেত্রী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এবার আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে চাই।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ প্রকৌশলী ড. মো. আমজাদ হোসেন, শেখ হাসিনা ছাত্রী হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়রা আজমিরা এরিন, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান, শেখ ফাহাদ ফারদীন প্রমুখ।

এছাড়া, মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, দপ্তর প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত থেকে সংহতি জানান।


সর্বশেষ সংবাদ