১১ আগস্ট ২০২৫, ১২:৪০

পবিপ্রবির ছাত্র পরামর্শক পরিচালকের কক্ষ তালাবদ্ধ ৭ দিন

প্রবিপ্রবিতে তালাবদ্ধ ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্রের পরিচালক  © সম্পাদিত

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (প্রবিপ্রবি) ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. সুজাঙ্গীর কবির সরকার নিযুক্ত হলেও এখনও দায়িত্ব বুঝে পাননি। তাঁকে নিয়োগ দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে পরিচালকের কক্ষ সাতদিন ধরে তালাবদ্ধ করে রেখেছেন সহযোগী অধ্যাপক এবিএম সাইফুল ইসলাম।

গত ৪ আগস্ট রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে অধ্যাপক ড. মো. সুজাহাঙ্গির কবির সরকারকে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্রের পরিচালক দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু পদটিতে নিয়োগ প্রত্যাশী একই দপ্তরের উপ-পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেন সহযোগী অধ্যাপক এবিএম সাইফুল ইসলাম। তাঁকে অসম্মানিত করা ও জামায়াতিকরনের অভিযোগ করেন তিনি।

ড. সুজাঙ্গীর কবির সরকার দায়িত্ব পেয়ে টিএসসিতে পরিচালক কক্ষে প্রবেশ করতে যান। তার আগেই বিষয়টি আঁচ করতে পেরে পরিচালকের কক্ষে সহযোগী অধ্যাপক এ বি এম সাইফুল তালা মেরে রাখেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ৯ আগস্ট পবিপ্রবি জনসংযোগ দপ্তরের মাধ্যমে এ বি এম সাইফুল ইসলামের পদত্যাগের সময় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তার করা অভিযোগের বিষয়ে প্রতিবাদলিপি দেয়া হয়েছে। 

পরিচালকের কক্ষ তালা দেওয়ার বিষয়ে একটি নির্দেশক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া রবিবার নির্দেশক কমিটির কাছে পরিচালকের কক্ষের চাবি তুলে দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি এখনও কক্ষ বুঝে পাননি। অধ্যাপক ড. সুজাঙ্গীর কবির সরকার বিষয়ট নিশ্চিত করে বলেন, তাকে রবিবার পরিচালকের কক্ষ বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি পাননি।

আরও পড়ুন: শিক্ষা ক্যাডারে অযৌক্তিক অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবি বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সহযোগী অধ্যাপক এ বি এম সাইফুল ইসলাম তালা মারার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘যেহেতু আমি দায়িত্বে ছিলাম, কোথায় কিছু হারিয়ে যেন না যায়, তাই চাবি নিয়ে রেখেছে।’ তবে একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের তালা পরিবর্তন করে ব্যক্তিগত তালা দিয়ে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন , ‘বিষয়টি নিয়ে বসা হয়েছে। একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারা খুব দ্রুত মিমাংসা করে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্রের পরিচালক কক্ষ খুলে দেওয়া হবে।’