০৫ আগস্ট ২০২৫, ২৩:৩১

জেনারেটর থাকলেও নেই অপারেটর; প্রকৌশলী বলছেন, 'তিনি অবগত নন'

গণঅভ্যুত্থান ও স্বৈরাচার পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান  © সংগৃহীত

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) কনভেনশন হলে জেনারেটর থাকলেও নেই কোনো অপারেটর। ফলে, বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ১ ঘণ্টা অন্ধকারে ডুবে ছিল অনুষ্ঠানস্থল। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। 

৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান ও স্বৈরাচার পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান বিকেল থেকে শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন হলে। অনুষ্ঠানের মাঝপথে রাত ৮টা ৫০ মিনিটে হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ চলে যায়। ৩০ মিনিট পেরিয়ে গেলেও বিদ্যুৎ না আসায় দুশ্চিন্তা ছড়িয়ে পড়ে আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীদের মাঝে।

বিদ্যুৎ অফিসে একাধিকবার ফোন করেও মিলেনি সমাধান। কনভেনশন হলে স্থাপনকৃত জেনারেটর থাকা সত্ত্বেও তা চালু করা সম্ভব হয়নি, কারণ উপস্থিত ছিল না কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত অপারেটর।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী রিপন আলীকে ফোন দিলে তিনি জানান, অনুষ্ঠান সম্পর্কে তিনি অবগত নন।

এক ঘণ্টা ধরে অন্ধকারে থাকা কনভেনশন হলে শিক্ষার্থীরা মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে জেনারেটর চালু করা হয় এবং বিদ্যুৎ ফিরে আসে।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তুষার মাহমুদ বলেন, এই দায় পুরো প্রশাসনের। তারা এভাবে নিজেদের দায় এড়াতে পারে না। একে অপরের দোষ দিয়ে দায়িত্ব ফেলা সমাধান নয়। আয়োজক কমিটির উচিত ছিল প্রকৌশলীকে আগে থেকে জানানো, আবার প্রকৌশল বিভাগেরও উচিত ছিল এমন অনুষ্ঠানে নিজ দায়িত্বে নজর রাখা।

শিক্ষার্থী মিরাজ খান বলেন, অপরিকল্পিত বিদ্যুৎবিভ্রাটে একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান এমনভাবে বিঘ্নিত হবে, সেটা আমরা আশা করিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে জেনারেটর থাকলেও যদি চালানোর জন্য অপারেটর না থাকে, তাহলে সেই যন্ত্রপাতি থাকা না থাকার মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না। এটি একটি বড় অব্যবস্থাপনার পরিচায়ক।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান এর বর্ষপূর্তি উদযাপন কমিটি ২০২৫-এর আহ্বায়ক ড. কামরুজ্জামান বলেন, একজন প্রকৌশলী কীভাবে দায়িত্ব এড়িয়ে যান, তা আমার বোধগম্য নয়। আগামীকাল সেই প্রকৌশলী কীভাবে অফিসে আসে, তা দেখব। এই ঘটনার সমাধান অবশ্যই করতে হবে। নাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।