হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম
চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালী ফেরার পথে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) তিন শিক্ষার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়ে সড়কে অবরোধ তুলে নেন।
আজ রবিবার (১৩ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় তারা চৌরাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। এতে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ যায়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা এ অবরোধে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রামের যান চলাচল বন্ধ থাকে।
এর আগে প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী অনিমেষ দেবনাথ ও তার দুই সহপাঠীর ওপর চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালী ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এর আগেও গত মাসে একই এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে।
এসিসিই বিভাগের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, ‘ঘটনার পরপরই আমরা নোয়াখালীর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করি। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ৭-৮ জনকে অজ্ঞাতনামা করে একটি মামলা করেছে। সেখানে আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করা খুবই সহজ ব্যাপার। কিন্তু প্রশাসনকে এখনো কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ১৫ জুলাই বন্ধ থাকবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা
সমাজকর্ম বিভাগের রিয়াদুল জান্নাত মারিয়া সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘এক জুলাইয়ে আমরা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছি, আরেক জুলাইয়ে প্রয়োজনে আমরা এই সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের পতন ঘটাবো। অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানাচ্ছি।’
এ সময় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নড়বড়ে অবস্থা তুলে ধরে অ্যাপ্লাইড ম্যাথ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল করিম বলেন, ‘আমি প্রশাসনের কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাতে চাই, যারা হামলা করেছে, তাদের দ্রুত শনাক্ত করে বিচারেরে আওতায় আনেন।’
সর্বশেষ শিক্ষার্থীরা আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়ে সড়কে অবরোধ তুলে নেন।