প্রথমবারের মতো পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মৌসুমী ফল উৎসব
পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পিবিপ্রবি) প্রথমবারের মতো মৌসুমী ফল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২ জুলাই) প্রশাসনিক ভবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়। পিবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম সকাল ১০টায় ফিতা কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে আম, কাঁঠাল, আনারস, আমড়া, পেয়ারা, পেঁপে, কলা, ড্রাগন, লটকন, করমচা, সফেদা, কামরাঙা, কাউফল, ডেউয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশী ফলের সমাহার ছিল। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এসব ফলের সাথে পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি স্বাদ গ্রহণ করেন। সবার সম্মিলিত ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন প্রাঙ্গণ রঙিন ও উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘ইতিহাস, ঐতিহ্য ও প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার এক অনন্য দৃষ্টান্ত আমাদের এই ফল উৎসব। বাংলাদেশ এক অপার সম্ভাবনার দেশ। এ দেশের মাটি অনেক উর্বর। এ দেশের মাটিতে কয়েকশ প্রজাতির মৌসুমী ফল উৎপাদন হয়। কিন্তু এসব অনেক ফলের সাথেই আমাদের বর্তমান প্রজন্মের পরিচয় নেই। এসব ফলের সাথে তাদের পরিচয় করিয়ে দিতেই মূলত আমাদের এই আয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো এমন সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা দেশ বিশ্বের বুকে খুব বিরল। কেননা অন্যান্য দেশে দেখা যায় অনেক শীত, অনেক বৃষ্টি অথবা অনেক গরম। কিন্তু বাংলাদেশের মতো এমন সবুজ ও সতেজ দেশ দেখা যায় না বললেই চলে। এ দেশে মৌসুমী ফলের পাশাপাশি শীতকালে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ হয়। এসব ফল ও সবজি কেবল সুস্বাদু নয়; বরং অনেক স্বাস্থ্যসম্মত। এসব খেলে অনেক রোগব্যাধি থেকে প্রতিকার পাওয়া সম্ভব।’
এ সময় তিনি সবাইকে খালি জায়গায় সুযোগ অনুযায়ী গাছ লাগানোর এবং বেশি বেশি করে দেশি ফল খাওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আকতার হোসেন ও পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম রেজাউল ইসলাম শামীম বক্তব্য রাখেন। বক্তারা চমৎকার এই উদ্যোগের প্রশংসা করে আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।