২৫ মার্চ ২০১৯, ২২:১০

২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য হাবিপ্রবিতে মানববন্ধন

মোমবাতি প্রজ্জ্বলনসহ মানববন্ধন কর্মসূচি  © টিডিসি ফটো

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনসহ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ ভবনের সামনে মানববন্ধনে ২৫ মার্চ নিরীহ বাঙ্গালীদের উপর পাকিস্তানি মিলিটারি বাহিনীরা যে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তার প্রতিবাদে এবং শহীদদের স্মরণে দিবসটিকে আন্তর্জাতিক ভাবে গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবিতে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, হাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ, কর্মকর্তা ও কর্মচারী অংশ নেন।

মানববন্ধনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. ভবেন্দ্র কুমার বিশ্বাস, মেডিসিন, সার্জারি ও অবস্টিট্রিকস বিভাগের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. ফজলুল হক, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রাজিব হাসান, হাবিপ্রবি শাখার ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদ খান ও রাসেল আলভী।

বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বাঙালী জাতির জীবনে এক বিভীষিকাময় রাত নেমে আসে। মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কাপুরুষের মত তাদের পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন সার্চলাইটের নীলনকশা অনুযায়ী আন্দোলনরত বাঙালীদের কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাতের আঁধারে বাঙালি জাতির উপর নির্মমভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র মানুষকে অকাতরে হত্যা করে। অগ্নি-সংযোগ, লুন্ঠন ও নিরপরাধ মানুষ হত্যা করে এক বিভীষিকাময় পরিবেশ তৈরি করে।

দিবসটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়ে বক্তারা আরো বলেন, ২৫ মার্চের গণহত্যা শুধু এক রাতের হত্যাকান্ডই ছিলনা, এটা ছিল মূলত বিশ্ব সভ্যতার জন্য এক কলঙ্কজনক জঘন্যতম গণহত্যার সূচনা মাত্র। এই ভয়াল ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে দিতে হবে বলে দাবি জানান বক্তারা।

পরে ২৫ মার্চের রাতের সকল শহীদদের আত্মার চিরশান্তি কামনা করে মানববন্ধন কর্মসূচি শেষ করা হয়।