যবিপ্রবিতে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, কেক কাটা, মিলাদ মাহফিল, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করা হয়েছে। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে যবিপ্রবির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তাবৃন্দ, কর্মচারী সমিতি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা হয়।
কেক কাটা শেষে যশোরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাচ্চাদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। বাচ্চাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আগামী দিনের এস এম সুলতান তোমাদের মধ্য থেকে জন্মগ্রহণ করবে। আগামী দিনের জয়নুল আবেদীন তোমাদের মধ্য থেকে বেরিয়ে আসবে। দেশ যদি আবার কোনো বিপদ বা সংকটে পড়ে তাহলে তোমাদের মধ্য থেকেই জন্মগ্রহণ করতে পারে আরেক বঙ্গবন্ধু। তারাই দেশকে সংকট থেকে বের করে নিয়ে আসবে। তোমাদের কাছে আহ্বান রাখছি, এই দেশকে তোমরাই সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবে।
উপস্থিত বাচ্চাদের উদ্দেশ্যে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যশোর জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, বঙ্গবন্ধুর চিন্তা এবং চেতনায় ছিল এই দেশ এবং মানুষ। তোমরা যে ছাত্র-ছাত্রীরা এখানে আছো, বড় হয়ে কেউ ভাইস চ্যান্সেলর হবে, বড় রাজনীতিবিদ হবে, অনেক বড় পদে বসবে। তোমাদের প্রতি একটিই অনুরোধ, তোমাদের চিন্তা এবং চেতনায় যেন দেশ ও মানুষের কল্যাণে থাকে। দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসার মাধ্যমেই আমরা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি সবচেয়ে বড় শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারি।
এরপরে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এতে প্লে গ্রুপ-প্রথম শ্রেণি বিভাগে পুরস্কার জয়লাভ করেন, যশোরের মৌমাছি স্কুলের তাহসিনুর রহমান তাহসিন, যবিপ্রবি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ফাইজা, একই প্রতিষ্ঠানের সাফরিন; ২য় শ্রেণি-৩য় শ্রেণি বিভাগে পুরস্কার জয়লাভ করেন, যবিপ্রবি স্কুল অ্যান্ড কলেজের হুসাইন, মো. সামি, যশোর ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাইশা তাহসিন; ৪র্থ-৫ম শ্রেণি বিভাগে পুরস্কার জয়লাভ করেন, যবিপ্রবি স্কুল অ্যান্ড কলেজের মো. মহিব্বুল ইসলাম, সানজিদা আক্তার জেবা এবং দাউদ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের তাহমিদুর রহমান, ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণি বিভাগে পুরস্কার জয়লাভ করেন, যশোর ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের নাবিহা তাহসিন, শ্যামনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাদিয়া সুলতানা।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের ক্রেস্ট তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। কিছু দিন আগে যবিপ্রবি সংলগ্ন শ্যামনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের বার্ষিক বনভোজনের গাড়ি সড়ক দুর্ঘটনায় পড়লে প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন ছাত্রী হতাহতের শিকার হন। অনুষ্ঠানে তাদের চিকিৎসা সেবার জন্য প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষকের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ। একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতি তাদের দুজন কর্মচারীকে আর্থিক সহায়তা দেন।
বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আকরামুল ইসলাম।