মন্থরগতিতে হলের নির্মাণ কাজ, বাড়ছে আবাসন সংকট
- আব্দুর রহমান, নোবিপ্রবি
- প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ০৭:০৮ PM , আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ০৮:৪০ PM
চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময় শেষ বহু আগে। চার বার নতুন করে বাড়ানো হয়ছে সময়। সর্বশেষ অতিরিক্ত সময়ও শেষ হয়েছে গত বছরের নভেম্বরে। কিন্তু নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) নির্মাণাধীন দুটি হলের কাজ শেষ হয়নি এখনো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি ছাত্র ও তিনটি ছাত্রী হলের মধ্যে নির্মাণাধীন হল দুটি হচ্ছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল। নির্মাণাধীন হল দুটির মধ্যে গোলাকৃতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছেলেদের ও পঞ্চভুজ আকৃতির বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল মেয়েদের জন্য।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছেলেদের জন্য নির্মিত স্পীকার আব্দুল মালেক উকিল হলে অস্থায়ীভাবে যে সকল ছাত্রীদের আবাসনের ব্যবস্থা করেছিল তাদেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে জানান প্লানিং, ডেভেলপমেন্ট এন্ড ওয়ার্কার্সের ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার এ.এইচ.এম নিজাম উদ্দীন চৌধুরী।
তিনি জানান, ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হল ও আব্দুল মালেক উকিল হল দুটি ছাত্রদের জন্য এবং বিবি খাদিজা হলসহ বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা হল তিনটি ছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ হবে। নির্মাণাধীন হল দুটির কাজ সম্পন্ন হলে শিক্ষার্থীদের সিংহভাগই আবাসন সুবিধা পাবে এবং বিদ্যমান আবাসন সমস্যা অনেকাংশে সমাধান হবে বলে তিনি মনে করেন।
কিন্তু সমস্ত প্রক্রিয়া ঝুলে আছে নির্মাণাধীন হল দুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্নের ওপর। হল দুটির কাজ যত দ্রুত সম্পন্ন হবে ছাত্রী স্থানান্তর তথা আবাসন সমস্যা তত দ্রুত সমাধান হবে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টার প্রফেসর মো. মুমিনুল হক বলেন, ঠিকাদার কোম্পানি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঠিকাদার কোম্পানিকে বার বার তাগিদ দিচ্ছি। ইনশাআল্লাহ আগামী এক মাসের মধ্যে হলের কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করি।
নির্মাণাধীন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল দুটির কাজ ২০১৪ সালের ২৪ জুন শুরু হয়। চুক্তি অনুযায়ী দুই বছরের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার কথা থাকলেও ঠিকাদার আলী হায়দার রতনের মালিকানাধীন মাহাবুব ইনফ্রাটেক জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি তা সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয়। নির্মাণ কাজের মন্থরগতি ও অনিয়মের অভিযোগে নোবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামান ঠিকাদার পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিলে কোম্পানিটি আদালতের মাধ্যমে ৬ মাস করে সময় বৃদ্ধি করেছে অন্তত চার বার। সর্বশেষ বর্ধিত সময়ের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছরের নভেম্বর মাসে। কিন্তু এখনো কাজ সম্পন্ন হয়নি।
এদিকে, নির্মাণ কাজের এই মন্থর গতির ফলে বিপাকে পড়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। প্রকট আকার ধারণ করছে নোবিপ্রবির আবাসন সমস্যা। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে বরাবরই আবাসন সমস্যা নিরসনের দাবি জানিয়ে আসলেও কোন সুরাহা হয়নি।