২০২৪ সালে যাদের হারিয়েছে হাবিপ্রবি
দরজায় কড়া নাড়ছে নতুন আরেকটি বছর। এরই মধ্যে অনেকে নতুন বছরের পরিকল্পনাও সাজাতে বসে গেছে। আনন্দ-বেদনা, আশা-নিরাশায় ভেলায় চড়ে সবাই ২০২৪ সালকে বিদায় জানাতে যখন প্রস্তুত, তখন একটু পেছন ফিরে দেখা যাক ফেলে আসা দিনগুলো।
চলতি বছর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) হারিয়েছে বেশ কিছু মেধাবী শিক্ষার্থীকে; সঙ্গে একজন কর্মচারীকেও। যারা কোনো দিন আর ফিরবেন না। চিরদিনের জন্য পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। চলতি বছরে ঘটে যাওয়া সেই হৃদয়বিদারক ঘটনাগুলো নিয়ে আজকের এই প্রতিবেদন।
গত ১৮ জুলাই পারিবারিক সমস্যার কারণে চিরকুঠ লিখে আত্নহত্যা করেন ২০১৭-১৮ সেশনের সিএসই অনুষদের শিক্ষার্থী অনুপম রায়। অনুপমের লাশের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া যায়। এতে তিনি তার বাবাকে উদ্দেশে লিখেছেন, ‘বাবা, আমায় ক্ষমা করে দিও। এমন একটা সম্পর্কে জড়িয়েছি। তার কোনো দোষ নেই। সব দোষ আমার। কারো প্রতি কোনো অভিযোগও নেই।’
আরও পড়ুন: প্রকাশিত হলো হাবিপ্রবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের পরিচয়
চিরকুটে তিনি সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে আরও লেখেন, ‘আমার সৎমা, ভাই তোমরা ভালো থেকো। বাবাকে দেখে রেখো। আমার কোনো ভুল হলে ক্ষমা করে দিও। আমার মৃত্যুর জন্য বন্ধন ছাত্রাবাসের কেউ দায়ী না।’
৩১ আগস্ট গলায় ওরনা পেঁচিয়ে আত্নহত্যা করেন ১৯তম ব্যাচের কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী সুরাইয়া আক্তার।
গত ১০ সেপ্টেম্বর অসুস্থতাজনিত কারণে মারা যান মার্কেটিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আলিফ আহমেদ। আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের অসুস্থতার কথা জানান আলিফ। সহপাঠীরা জানায়, আলিফ থ্যালাসেমিয়ার রোগী ছিলেন।
আরও পড়ুন: হাবিপ্রবিতে শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালা আইকিউএসি’র
১৮ নভেম্বর সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সিনিয়র ল্যাব টেকনিশিয়ান আবদুল মান্নান (৪৫)। মোটরসাইকেলকে ওভারটেক করতে গিয়ে ট্রাক ও মোটরসাইকেলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। তিনি একজন কর্তব্যনিষ্ঠ ও দায়িত্বপরায়ণ কর্মচারী ছিলেন।