২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:০৪

যবিপ্রবিতে ‘বিপ্লব-২৪’ সংগঠনের যাত্রা শুরু

সজিব, ফরিদ ও হান্নান  © টিডিসি ছবি

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ‘বিপ্লব-২৪’ নামে নতুন একটি সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়েছে। আজ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। নবগঠিত এ কমিটি আগামী ১ বছর দায়িত্ব পালন করবেন।

সংগঠনটির নতুন কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক  ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মো. সজীব হোসেন, সদস্য সচিব হিসেবে ফিজিওথেরাপি এন্ড রিহ্যাবিলেশন (পিটিআর) বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মো. ফরিদ হাসান এবং মুখ্য সংগঠক হিসেবে পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (ইএসটি) বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী হান্নান হোসেন দায়িত্ব পেয়েছেন। 

কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্যরা হলেন- মো. সামিউল আজিম, শাহরীন আফরিন শিপলা, সাকিব হাসান, সাদমান ফেরদৌস,  আল-আমিন, আলফাজ হোসেন আরবি, আহনাফ আহমেদ বাঁধন, মো. নাঈম হাসান, সৈয়দ সিয়াম আহমেদ, হাসান আবরার মঈন।

নবগঠিত এ সংগঠনটির আহ্বায়ক মো. সজীব হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সামাজিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা এবং সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তোলাই আমাদের অঙ্গীকার। ‘বিপ্লবের শপথ নিন, দেশ গঠনে অংশ নিন’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ‘বিপ্লব-২৪’ সংগঠনের যাত্রা। সচেতন নাগরিক হিসেবে মানুষের মৌলিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা, দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে শিক্ষার সার্বিক গুরুত্ব সকল নাগরিকের কাছে তুলে ধরা, পরিবেশ সংরক্ষণে সকল নাগরিকদের সচেতন করা এবং জুলাই বিপ্লবের হাজার হাজার শহীদ ও আহতদের স্বপ্নের যে বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ কামনা সেই স্বপ্ন যেন আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি। বাংলাদেশের সর্বস্তরের শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করি।’

বিপ্লব-২৪ এর সদস্য সচিব মো. ফরিদ হাসান বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের চেতনা অক্ষুণ্ন রাখা এবং সেই বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো সংগঠনটির অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য। পাশাপাশি ফ্যাসিস্ট শাসনের শিকার হয়ে গুম, খুন বা হত্যার শিকার নিরপরাধ মানুষের পরিবারের পাশে থাকা, দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে সহায়তা প্রদান, পরিবেশের উন্নয়ন এবং সমাজের ক্ষতিকর দিকগুলো দূর করে ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা এ সংগঠনের লক্ষ্য। গুটিকয়েক তরুণের প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠা এই সংগঠনটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিপ্লবী চেতনাকে ধারণ ও প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে এবং এর কার্যক্রম দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও ছড়িয়ে পড়বে বলে বিশ্বাস করি।’