শিক্ষকের বদলি প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম
চট্টগ্রাম টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের (সিটেক) ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক মো. সাইফুল ইসলামকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বদলির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে শিক্ষকের বদলির আদেশ বাতিলের জন্য ২৪ ঘণ্টা আলটিমেটাম দেন তারা।
গতকাল মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ১১টায় চট্টগ্রাম টেক্সটাইল ইঞ্জিনিযারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এই বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় তারা ক্যাম্পাসের মূল প্রশাসনিক ভবন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে মূল ফটকের সামনে আগুন জ্বালিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিলটি শেষ করেন।
সমাবেশে ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফজলুর রহমান বলেন, সাইফুল স্যারের বদলি আদেশে বর্তমান শিক্ষার্থীরা অনেক ক্ষুব্ধ এবং তারা এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানায়। সাইফুল স্যারের মতো এমন যোগ্য ও সৎ শিক্ষককে শিক্ষার্থীরা হারাতে চায় না। তা ছাড়া ফ্রেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে শিক্ষকের ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও তাকে বদলি করা হয়েছে। এই আদেশ প্রত্যাহার না হলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্লাস পরিক্ষাসহ সব কার্যক্রম বয়কট করবো এবং প্রয়োজনে বস্ত্র অধিদপ্তর ঘেরাও করবো।
একই বিভাগের ১৪তম ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী আবু নাসের সাগর বলেন, সাইফুল স্যার আমাদের বিভাগ থেকে চলে গেলে আমাদের বিভাগ শিক্ষক শূন্য হয়ে পড়বে। তাই আমরা চাই না তার মতো যোগ্য শিক্ষককে হারাতে। এ ছাড়া তিনি আমাদের বর্তমান শিক্ষার্থীদের একটি আস্থার জায়গা। আমরা চাই এই বদলি আদেশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে, তা না হলে আমরা ক্যাম্পাসের সব প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেব।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম টেক্সটাইল ইঞ্জিনিযারিং কলেজের অধ্যক্ষ জামিরুল ওসমান বলেন, উনি আমাদের একজন সৎ ও শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষক। উনি যদি ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে চলে যান, তাহলে বিভাগে কোনো স্থায়ী শিক্ষক থাকবেন না। তা ছাড়া বর্তমানে যাকে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে, উনি অন্য বিভাগের।
উল্লেখ্য, ২৪ ডিসেম্বর বস্ত্র অধিদপ্তর উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. সাইফুর রহমানের সই করা এক অফিস আদেশের মাধ্যমে প্রভাষক মো. সাইফুল ইসলামকে বদলির আদেশ দেওয়া হয়। আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে তাকে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে।