মাভাবিপ্রবিতে শহীদ স্মৃতি পাঠচক্র যাত্রা শুরু
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে এবং শহীদদের স্মৃতিকে চিরস্মরণীয় করে রেখে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তারুণ্যের চিন্তা চেতনা উজ্জীবিত রাখতে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) শহীদ স্মৃতি পাঠচক্রের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় মাল্টিপারপাস ভবনের সামনে “জ্ঞান, ভ্রাতৃত্ব, সংগ্রাম” এই মূলনীতি ধারণ করে পাঠচক্রের যাত্রা শুরু হয়। এই পাঠচক্রে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সংগঠনের আহ্বায়ক তৌকির আহমেদ বলেন, ‘আমরা সবাই একটা কথা জানি যে, পড়িলে বই আলোকিত হই, না পড়িলে বই অন্ধকারে রই। জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়ে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ থেকে সুন্দর সমাজ, রাষ্ট্র বিনির্মাণের লক্ষ্যে সকল অন্যায়, শোষণ, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলমান থাকবে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেমকে জাগিয়ে তুলতে, দেশ ও বহির্বিশ্বের ইতিহাসকে জানতে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজের কণ্ঠস্বরকে জাগিয়ে তুলতেই আমাদের এই শহীদ স্মৃতি পাঠচক্রের যাত্রা শুরু করেছি। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সময়ে ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহ থেকে শুরু করে বিশেষ করে ১৯৫২, ১৯৬৯, ১৯৭১ এবং সর্বশেষ ২০২৪ এ যতজন শহীদ হয়েছেন সকল শহীদদের স্মরণে এবং নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা এ সংগঠন তৈরির প্রয়োজনীয়তা মনে করেছি।’
ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স (সিপিএস) বিভাগের শিক্ষার্থী আখতারুজ্জামান সাজু বলেন, ‘ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ভাষা আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধসহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সকল শহীদ স্মরণে আমরা ‘শহীদ স্মৃতি পাঠচক্র’ এর উদ্যোগ নিয়েছি। শহীদদের আকাঙ্ক্ষা ছিল একটি শোষণমুক্ত রাষ্ট্র কায়েম করা। আর শোষণ মুক্ত রাষ্ট্র গঠনে নাগরিকের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার বিকল্প নেই। আমরা মনে করি, আমাদের এই সংগঠন নতুন বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে।’
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী মিসবাহুল আলম মুত্তাকী বলেন, ‘শহীদ স্মৃতি পাঠচক্র একটি প্রগতিশীল শিক্ষামূলক সংগঠন। যা তরুণ সমাজকে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে মুক্তবুদ্ধির চর্চায় উদ্বুদ্ধ করবে। এটি পাঠচক্র, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজে মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত। ২৪ এর চেতনা, মানবিক মূল্যবোধ, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং ইতিহাসের শিক্ষা এ সংগঠনের মূল প্রেরণা। আমি এ সংগঠনের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি ও ক্যাম্পাসের পরবর্তী প্রজন্মকে এই সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে সমাজ প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখতে আকুল আবেদন করি।’