০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৩৩
লিফট চালুর দাবিতে যবিপ্রবিতে মানববন্ধন, পিএনডি দপ্তরে তালা
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) বিভিন্ন ভবনে দীর্ঘদিন ধরে অচল থাকা লিফটগুলো চালুর দাবিতে পুনরায় মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় পরিকল্পনা উন্নয়ন ও পূর্ত দপ্তরে (পিএনডি) তালা লাগিয়ে দেন তারা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে লিফট চালু না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেওয়ার হুশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) বেলা দুইটায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিভিন্ন ভবনের লিফটগুলো দীর্ঘদিন ধরে অচল থাকায় শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষত, উচ্চতল ভবনের ক্লাসরুম ও ল্যাব ব্যবহারের সময় শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা প্রকট।
শিক্ষার্থীরা দ্রুত লিফটগুলো চালুর দাবি জানান এবং বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
ইএসটি বিভাগের শিক্ষার্থী হান্নান হোসেন বলেন, ‘দুর্নীতিসহ বিভিন্ন কারণে লিফটগুলো বন্ধ হয়ে রয়েছে। আমরা ইউজিসির তদন্ত কমিটির কাছে দাবি জানাচ্ছি যে, যতদ্রুত সম্ভব তদন্ত শেষ করে লিফটগুলো চালু করার ব্যবস্থা করা হোক এবং হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের সিট বুঝিয়ে দেওয়া হোক।’
যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
মানববন্ধনে আরেক শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়াকে তুচ্ছজ্ঞান করে। দীর্ঘদিন ধরে লিফট চালুর দাবিতে আমরা আন্দোলন করে এলেও প্রশাসনের টনক নড়েনি। আমাদের সহপাঠীরা ক্যাম্পাসের বাইরে মেসে সিটভাড়া দিয়ে থাকছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে দশতলা আবাসিক ভবন থাকতে কেনো শিক্ষার্থীরা ভাড়া দিয়ে মেসে থাকবে! এই সমস্যার সমাধান না করে প্রশাসন যদি মনে করে এমন টালবাহানা করেই যাবে তাহলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।’
এদিকে এত দিনেও লিফট চালু না হওয়ায় সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএনডি দপ্তরে ফের তালা ঝুলিয়ে দেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে যবিপ্রবির চারটি ভবনে ১৪টি লিফট স্থাপন করা হয়, যেখানে দরপত্রের শর্ত লঙ্ঘন এবং নিম্নমানের সরঞ্জাম ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। হাইকোর্টের নির্দেশে দুদক ও ইউজিসি বিষয়টি তদন্ত করছে। বর্তমানে ১০টি লিফট অকেজো থাকায় শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বিল বকেয়া থাকার অজুহাতে মেরামত কাজ শুরু করছে না, আর প্রশাসনের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নেও বিলম্ব হচ্ছে।