হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও যবিপ্রবি কর্মকর্তা সাইফুর গ্রেফতার
- যবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২০ PM , আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১১ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক শিক্ষার্থীর করা হত্যা চেষ্টা মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান। রবিবার (১০ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) একটি দল যবিপ্রবির প্রধান ফটক থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
সাইফুর রহমান যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার দপ্তরের সংস্থাপন প্রশাসন-১ কর্মরত কর্মকর্তা এবং তৎকালীন ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহবাগ থানায় ভুক্তভোগী ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাসরুর, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বাপ্পি মিয়া, মনোবিজ্ঞান বিভাগের ইবরাহীম হোসেন, মেহেদী হাসান এবং আবদুল গাফফারের পক্ষে মাসরুর বাদী হয়ে এ হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: যবিপ্রবিতে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা
মামলার এজহার থেকে জানা যায়, শিবির ট্যাগ দিয়ে ২০১৭ সালের ১৬ আগস্ট রাত ১১টায় এজাহারভুক্ত আসামিরা ভুক্তভোগীদের ডাকতে এসে এলোপাতাড়ি মারতে শুরু করে। রগ কাটার জন্য পাশের রুম থেকে ছুরি নিয়ে আসে। চিৎকার যাতে বাইরে না যায় সেজন্য উচ্চশব্দে সাউন্ড বক্স মিউজিক বাজিয়ে দেওয়া হয়। মারতে মারতে একজন ক্লান্ত হয়ে পড়লে আরেকজন আসে, সে জিরিয়ে নিলে আরেকজন আসে। এভাবে দীর্ঘসময় ধরে তাদেরকে মারতে থাকে।
এজহারে মাসরুর বলেন, ‘একপর্যায়ে আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গা ফেটে গিয়ে রক্ত ফ্লোরে টপ টপ করে পড়তে থাকে। আজরাইল আসন্ন মনে করে আমি কালেমা পড়তে থাকি। এভাবে নানান মধ্যযুগীয় কায়দায় এজাহারভুক্ত আসামিরা অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন চালায়। এরপর তারা আমাদের মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে টেনে হলগেটে ফেলে রাখে।’
গ্রেফতারের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আমজাদ হোসেন বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মুহসিন হলের শিক্ষার্থীকে মারধরের অপরাধে শাহবাগ থানায় করা মামলার আসামি ঢাবি ছাত্রলীগের তৎকালীন আইনবিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান যবিপ্রবির সেকশন অফিসার সাইফুর রহমানকে আটকের জন্য পুলিশ প্রক্টর অফিসের সহায়তা চায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সাইফুর রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে করে নিরাপত্তার সঙ্গে প্রধান ফটকে নিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করি।’
এ বিষয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, ‘আমরা আটক করিনি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) একটি টিম এসেছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সে বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। আসামি আটকের পর আমাদের কাছে নেই, শাহবাগ থানার মামলা হয়ে থাকলে আসামিকে সেখানেই নিয়ে যাওয়া হবে।’