০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২০:৫২

শিক্ষার্থীদের সেবা বাড়াতে বশেমুরবিপ্রবি প্রশাসনের উদ্যোগ

শিক্ষার্থীদের সেবা বাড়াতে বশেমুরবিপ্রবি প্রশাসনের উদ্যোগ  © টিডিসি

শিক্ষার্থীদের মানসম্পন্ন সেবা বাড়াতে নানা গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) প্রশাসন। গত ৩০ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন শুরু করে।

গত ৩ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর ও প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসান ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ল্যাব, ক্লাসরুম এবং দপ্তর পরিদর্শন করেন এবং শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন। একই দিনে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল দাপ্তরিক কার্যক্রম তিন কার্যদিবসের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং অফিস সময়সূচি (৯টা-৫টা) কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুবিধা বাড়াতে এবং সেশনজট নিরসনের লক্ষ্যে অতিরিক্ত ক্লাস ও চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও, স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাসের ভবনগুলোতে ইন্টারনেট সেবার মান উন্নয়ন, খেলার মাঠ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কারের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।

নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য কেন্দ্রীয় নবীন বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে এবং এর জন্য উদযাপন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া, ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানের এডভাইজরি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে, ক্যাম্পাসে স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপারের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলের সমস্যা দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে প্রভোস্ট কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে এবং রিডিং রুমে এসি স্থাপনসহ অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধির নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। একই সাথে, ক্যাম্পাসের ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের মান উন্নয়নের জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এছাড়াও, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ভারতের অর্থায়নে নির্মাণাধীন আইসিটি পার্ক নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী ১১ অক্টোবর মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রতিনিধি আসবে, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বোত্তম ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা মাসব্যাপী বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। বেশকিছু সমস্যা সমাধান করা হয়েছে এবং বাকী গুলোও দ্রুত সমাধান করা হবে পর্যায়ক্রমে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন সকল সুযোগ-সুবিধা পায়, তারা যেন স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে এবং সকল ধরনের রাজনৈতিক প্রভাব বা ভয়ভীতি ছাড়া চলতে পারে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি।