২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৩

হাবিপ্রবির ক্রেডিট ফি বেড়ে দ্বিগুন, হিমশিম অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ক্রেডিট ফি বৃদ্ধির কারণে বাড়তি চাপে পড়েছেন অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা। শুরুতে এ ফি ৭৫ টাকা থাকলেও সেটি বেড়ে ১২৫ টাকা হয়েছিল। এখন আরও বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করা হয়েছে। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তুলনায় হাবিপ্রবির ক্রেডিট ফি অনেক বেশি, যা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করেছে বলে তারা অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি ক্রেডিটে ফি দিতে হয় ৭৫ টাকা। এ ছাড়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৬, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০৫, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০, পটুয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৫ এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১০ টাকা দিতে হয়।

প্রতি সেমিস্টারে প্রতিটি ক্রেডিটের জন্য শিক্ষার্থীদের ১৫০ টাকা ফি দিতে হয়। তিন ক্রেডিটের একটি কোর্সের জন্য ফি হয় ৪৫০ টাকা। আর একাধিক কোর্সের কারণে এ ফি প্রতি সেমিস্টারে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত পৌঁছে যায়। শিক্ষার্থীদের মতে, এ অতিরিক্ত খরচ মেটানো তাদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি সেমিস্টারে প্রতিটি ক্রেডিটের জন্য শিক্ষার্থীদের ১৫০ টাকা ফি দিতে হয়। তিন ক্রেডিটের একটি কোর্সের জন্য ফি হয় ৪৫০ টাকা। আর একাধিক কোর্সের কারণে এ ফি প্রতি সেমিস্টারে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত পৌঁছে যায়। শিক্ষার্থীদের মতে, এ অতিরিক্ত খরচ মেটানো তাদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ছে।

রাকিবুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী  বলেন, ‘আমরা অনেকেই আর্থিকভাবে স্বচ্ছল নই। বাড়ি থেকে পড়াশোনার খরচ পাঠানোই অনেক কষ্টের ব্যাপার। ক্রেডিট ফি বাবদ এ অতিরিক্ত টাকা জোগানো আমাদের জন্য সত্যিই চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায়।’

আরেক শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘আমরা অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের বাইরে মেসে থাকতে বাধ্য হচ্ছি। মেস ভাড়া এবং অন্য খরচ চালাতে এমনিতেই হিমশিম খেতে হয়। তার ওপর এ বাড়তি ফি আমাদের জন্য অনেক কষ্টকর হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু সচ্ছল ছাত্র-ছাত্রী থাকলেও অধিকাংশই গরিব বা মধ্যবিত্ত পরিবারের। তাদের ওপর এ বাড়তি ফি নিয়ে চাপ তৈরি হয়। ফি কমানো গেলে আমাদের জন্য ভালো হতো।’

আরো পড়ুন: পাবিপ্রবিতে পিকনিক করা সময় মাদক সেবন, ৪ শিক্ষার্থী আটক

শিক্ষার্থীদের আশা, এ সমস্যার দ্রুত সমাধান এবং ফি কমানোর ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হলে তাদের ওপর আর্থিক চাপ কিছুটা হলেও কমবে।

এ বিষয়ে বিষয়ে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গির কবির বলেন, পূর্বে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই ছিল ক্রেডিট ফি। কিন্তু বিগত সময়গুলোয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইউজিসির অনুমোদন সাপেক্ষে ক্রেডিট ফি ১২৫ থেকে ১৫০ করে। যেহেতু ইউজিসি থেকে অনুমোদন করা তাই আমাদের হাতে নেই।

অতিরিক্ত ক্রেডিট ফি কমানোর বিষয়ে নবনিযুক্ত উপচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামুউল্যা বলেন, যেহেতু ১৫০ টাকা ক্রেডিট ফি ইউজিসি থেকে অনুমোদিত, সেক্ষেত্রে আমরা চাইলেও কমাতে পারব না। তবে আমরা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রেডিট ফি’র পরিসংখ্যানসহ বিষয়টি ইউজিসিতে পাঠাব এবং ক্রেডিট ফি কমিয়ে আনার প্রস্তাব করব।