শাবিপ্রবিতে র্যাগিংয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বহালে উদ্যোগী প্রশাসন
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বহাল রাখতে কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। সে লক্ষ্যে নবীন শিক্ষার্থীদের আগমণকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার টানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে ক্যাম্পাসে এসব ব্যানার দেখা যায়।
এ আগে র্যাগিংয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বহাল থাকবে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ ঘোষণা দেন।
জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত ভর্তি শেষে আগামী ৩ নভেম্বর থেকে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের প্রথমবর্ষের ক্লাস শুরু হবে। প্রতিবারই দেখা যায়, ক্যাম্পাসে নবীন শিক্ষার্থীরা আগমণের পর সিনিয়রদের দ্বারা নানারকম র্যাগিং, বুলিং, মানসিক ও শারিরীক নির্যাতনের শিকার হন।
অন্য বছরের মতো এসব ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি ঘটতে না পারে, সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি। এছাড়া নবীন শিক্ষার্থীদের আগমনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের সামনে ও ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সতর্কতা স্বরূপ ‘র্যাগিং একটি ফৌজদারি অপরাধ’ শিরোনামে ব্যানার টানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন: মনে আছে বিশ্বজিৎ, বিচার বাকি আবু বকরের— আসিফ নজরুলের স্ট্যাটাস
প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে মুক্তবুদ্ধি ও জ্ঞান চর্চার অবাধ ও স্বাধীন জায়গা। এখানে কেউ কাউকে র্যাগিংয়ের মতো সামাজিক অপরাধ করার মতো অধিকার রাখে না। শাবিপ্রবিতে এ বছর র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বহাল থাকবে। এক শিক্ষার্থীর দ্বারা আরেকজন শিক্ষার্থী নির্যাতিত হবে এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি আরো বলেন, কোনো প্রকার র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। র্যাগিংয়ের মতো অপসংস্কৃতির কোনো জায়গা নেই। এ অপসংস্কৃতির চর্চা থেকে বেরিয়ে সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা করতে হবেও বলে তিনি জানান।