প্রথমবারের মতো অটোমেশন ভর্তিপ্রক্রিয়ায় পবিপ্রবি
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে অনলাইনে সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। এবারই প্রথমবারের মতো রেজিস্ট্রেশন ফর্ম, একাউন্ট স্লিপ, ফ্যাকাল্টি স্লিপ, প্রক্টর ফর্ম ও হল ফি সবই অটোমেশন পদ্ধতিতে সম্পন্ন হবে।
পবিপ্রবির ভর্তি কার্যক্রম ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। পবিপ্রবির এই নতুন অনলাইন ভর্তিপ্রক্রিয়া শিক্ষার্থীদের জন্য সময়সাশ্রয়ী ও সহজতর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট (https://admission.pstu.ac.bd) থেকে তাদের ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ২০০ আসন ফাঁকা, চূড়ান্ত মনোনয়নে শেষ হবে ভর্তি কার্যক্রম
অনলাইনে ভর্তিপ্রক্রিয়ার ধাপগুলো
১. জিএসটি সিস্টেমের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত ভর্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় তথ্য ও অবশিষ্ট ফি জমা দিতে হবে।
২. শিক্ষার্থীদের অনলাইনে চূড়ান্ত ভর্তিপ্রক্রিয়া শুরু করার আগে এডমিশন গাইডলাইন ভালোভাবে পড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৩. আবেদনপ্রক্রিয়ায় জিএসটি অ্যাডমিশন ইউনিট এবং অ্যাপ্লিকেশন আইডি সঠিকভাবে দিয়ে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে এবং মোবাইল নম্বর যাচাই করে ওটিপির মাধ্যমে লগইন করতে হবে।
৪. প্রাপ্ত ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করে, শিক্ষার্থীর এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার তথ্য যাচাই এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে।
৫. ভর্তি ফরমের তথ্য প্রদান শেষে অবশিষ্ট ফি কার্ড বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।
৬. সবশেষে আবেদনকারীকে ডাউনলোড স্লিপ বাটনে ক্লিক করে রসিদ (Acknowledgement Slip) ডাউনলোড ও প্রিন্ট করে চূড়ান্ত ভর্তির জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির এক শিক্ষক ও ৭ শিক্ষার্থী পেলেন ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপ
ভর্তি-সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে হেল্প লাইন অথবা কমপ্লেন বক্সের মাধ্যমে সমাধান পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, নির্ধারিত তারিখে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন না করলে শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল বলে গণ্য হবে।
এ বিষয়ে পবিপ্রবির আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. শামসুজ্জামান বলেন, এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে তাদের ভর্তির সব কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবে। স্বল্প সময়ে সহজেই তারা সব প্রক্রিয়া শেষ করতে পারবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সফলতা। এতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির অবসান ঘটবে। আমাদের পর্যাপ্ত জনবল না থাকলেও অধ্যাপক ড. শামসুজ্জামানের দক্ষ তত্ত্বাবধানে ভর্তির সব প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই অটোমেশন সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি দ্রুতই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের এন্ট্রি ফরম, এনরোলমেন্ট এবং ফলাফলসহ সবকিছু অটোমেশন করতে পারবো।