শাবিপ্রবির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের নতুন ডিন শাহিদুল হক
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের নতুন ডিন হিসেবে যোগ দিয়েছেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহিদুল হক। তিনি সদ্য পদত্যাগকৃত ডিন ও একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মাজহারুল হাসান মজুমদারের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আবদুল কাদিরের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক আগামী দুই বছর ড. মোহাম্মদ শাহিদুল হক এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন। দায়িত্ব পালনকালে তিনি বিধি মোতাবেক ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
দায়িত্ব গ্রহণের পর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে তাদের পক্ষে কাজ করব এবং নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করব।’
জানা যায়, অধ্যাপক শাহিদুল হক ২০০৪ সালে শাবিপ্রবির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তী সময়ে ২০১৯ সালে তিনি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। এর আগে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) থেকে হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে ২০০০ সালে বিবিএস (সম্মান) ও ২০০২ সালে এমবিএ ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। পরবর্তী সময়ে ২০১৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএস থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
আর পড়ুন: শাবিপ্রবি থেকে উপাচার্য নিয়োগের দাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের
উল্লেখ্য, গত ১৬ আগস্ট নানা অনিয়ম, অপকর্মের অভিযোগ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ না করা এবং আন্দোলনের সময় নিরবতার অভিযোগ এনে অধ্যাপক মাজহারুল হাসান মজুমদারকে পদত্যাগ করার জন্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়।
এরপর ২০ আগস্ট অধ্যাপক মাজহারুল হাসান মজুমদার এক লিখিত বিবৃতিতে শিক্ষার্থীদের কাছে সময় চেয়ে বলেন, ‘নতুন উপাচার্য নিয়োগ হলে পদত্যাগপত্র জমা দিতে আমি একমুহূর্ত দেরি করব না।’ তবে উপাচার্য নিয়োগের ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও পদত্যাগ করেননি তিনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, যদি তিনি বৃহস্পতিবার ৩ অক্টোবরের মধ্যে পদত্যাগ না করেন, তাহলে উপাচার্য বরাবর সব অভিযোগের লিখিত দেব। এরপর গত ৫ অক্টোবর অধ্যাপক মাজহারুল হাসানের নানা অনিয়ম, অপকর্মের একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসে তোলে ধরলে ৭ অক্টোবর রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।