বুয়েটের শের-এ-বাংলা হলে ‘আবরার ফাহাদ স্মৃতিফলক’
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শের-এ-বাংলা হল প্রাঙ্গণে ছাত্রলীগের নির্যাতনে নিহত আবরার ফাহাদের নামে ‘আবরার ফাহাদ স্মৃতিফলক’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। সোমবার (৭ অক্টোবর) এর উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম বদরুজ্জামান ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘প্রথমেই আমি আবরার ফাহাদের বাবা ও তার পরিবারবর্গের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি যে, আপনারা আবরারকে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন, কিন্তু আমরা তাকে রাখতে পারিনি। আল্লাহর কাছে একটিই দোয়া, ঘরে ঘরে যেন আবরার ফাহাদের মতো সন্তান আসে, যারা সত্য বলতে ভয় পাবে না, যারা দেশের জন্য লড়বে। আবরারের জীবন থেকে আমরা এই শিক্ষায় নেব।’
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আর যেন কারও আবরারের মত জীবন দিতে না হয়। এ স্মৃতিফলক তৈরি করতে যা কিছু প্রয়োজন, শের-এ-বাংলা হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাথে হাত মিলিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এক সাথে কাজ করে যাব।’
দীর্ঘদিন ধরে আবরার ফাহাদের নামে স্মৃতিফলক নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্মৃতিফলক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে কমিটি গঠনের মাধ্যমে স্মৃতিফলকের নকশা নির্বাচন করে হল প্রাঙ্গণেই এ স্মৃতিফলক নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। শেরেবাংলা হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক ট্যাগে নির্যাতনের শিকার ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী
আবরার ফাহাদ বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ছিলেন। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের শের-এ-বাংলা হল থেকে আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার আগে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।
অনুষ্ঠানে বুয়েটের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন দপ্তর-পরিদপ্তরের পরিচালক, উপদেষ্টা মণ্ডলী, হল প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্টবৃন্দ ও শের-এ-বাংলা হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যসহ হলের ছাত্র ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।