শাবিপ্রবিতে আশ্বাস দিয়েও পদত্যাগ করেননি ডিন, আল্টিমেটাম শিক্ষার্থীদের
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক এবং স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাজহারুল হাসান মজুমদারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিতে আল্টিমেটাম দিয়েছেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ না করা এবং আন্দোলনের সময় নিরবতার অভিযোগ এনে তাকে পদত্যাগ করার জন্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তার আগের আশ্বাস অনুযায়ী, পদত্যাগ করতে আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।
এ আগে গত ১৬ আগস্ট তার পদত্যাগ চেয়ে বিবৃতি দেন শিক্ষার্থীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক মাজহারুল হাসান মজুমদার ২০ আগস্ট এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমর্থন না করা এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ব্যর্থতা - এ দুই কারণে শিক্ষার্থীদের ‘স্পষ্ট বিবৃতি’ তার নজরে এসেছে। শাবিপ্রবি অধ্যাদেশ অনুযায়ী স্কুলের ডিন এবং বিভাগীয় প্রধানের পদগুলো ‘বিধিবদ্ধ বা Statutory, ‘সুবিধাভুক্ত’ বা Privileged পদ নয়। বিধিবদ্ধ পদ থেকে চাইলেই পদত্যাগ করা যায় না।
একজন ডিন পদত্যাগ করতে হলে উপাচার্যের পূর্বঅনুমোদন প্রয়োজন হয়। বর্তমানে শাবিপ্রবিতে যেহেতু উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এমনকি রেজিস্ট্রারও নেই, সেহেতু ডিন পদ হতে তাদের দাবি মতো তিনি এখনই পদত্যাগ করতে অক্ষম। তবে শিক্ষার্থীরা পদত্যাগ দাবি করায় আর এক মিনিটও থাকবেন না। নতুন উপাচার্য নিয়োগ ও দায়িত্বভার গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে পদত্যাগপত্র দেবে জানিয়ে ততদিন পর্যন্ত সময় দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, তারা ডিন মাজহারুল হাসান মজুমদারের পদত্যাগের দাবি জানালে তিনি বিবৃতি দিয়েছিলেন। যেখানে তিনি উল্লেখ করেন, উপাচার্য নিয়োগ পেলেই তিনি এক মুহূর্ত দেরি না করে পদত্যাগ করবেন। কিন্তু উপাচার্য নিয়োগের পরও তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেননি। তাই শিক্ষার্থীরা জানাতে চায়, যদি তিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বৃহস্পতিবারের (৩ অক্টোবর) মধ্যে পদত্যাগ না করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ লিখিত আকারে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দেওয়া হবে।
আরো পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে ১৭ সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়কের পদত্যাগ
এ বিষয়ে অধ্যাপক মাজহারুল হাসান মজুমদার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিমের সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি আমাকে বলছেন ২-৩ দিন অপেক্ষা করার জন্য। যেহেতু শিক্ষার্থীরা আমার পদত্যাগ চাইছে, তাই সোমবার উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগের ব্যাপারটি অবহিত করব।’
উল্লেখ্য, অধ্যাপক মাজহারুল হাসান মজুমদার বিরুদ্ধে মাদক সরবরাহ করা, নারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করাসহ নানান অনিয়মের অভিযোগ করেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।